ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন পালনরত আখতার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন আখতারের প্রতি সমর্থন জানালেও বুধবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাকে দেখতে বা তার দাবি সম্পর্কে কথা বলতে যায়নি প্রশাসনের কেউ।
বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আখতার হোসেন । এর আগে বন্ধু ও সাংবাদিকদের সাথে কথা বললেও রাত সাড়ে ১০ টায় দুর্বলতার কারণে কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। পাশে থাকা বন্ধুরা ফলের রস বা অন্য কিছু খাওয়ার অনুরোধ করলেও শুনছেন না আখতার।
এর আগে সকালে নিজের অবস্থান এবং দাবি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন আখতার।
বুধবার সকালে আখতারের দেয়া পোস্ট
ওই পোস্টে তিনি লিখেন- “প্রশ্নফাঁসের মতো একটা ঘৃণ্য বিষয়ের প্রতিবাদে নেমেছি।।একুশ ঘণ্টা হয়ে গেল, অামি অনশন চালিয়ে যাচ্ছি।অথচ, অামার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটিবারও অামার সাথে দেখা করার প্রয়োজন বোধ করেনি। শুনেছি,তারা একাডেমিক কাজে ব্যস্ত।।
অামি জানি,,অামি ক্লান্ত হয়ে পরবো,ঠিক এ জাতির মত,,অামি দিশেহারা, ঠিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত।এ বিশ্ববিদ্যালয় অাজ মৃত্যুমুখে পতিত অার অামিও।কিন্ত,অামি ঠিক এভাবে মরতে চাইনা।।অামি চাই,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শক্ত দুটি হাত অামার গলা চেপে ধরুক অার অামার শেষ নিশ্বাসের ধাক্কাটা তাদের তাদের মুখে গিয়ে লাগুক।।তবেই একটু শান্তি পাই।। কিন্ত স্যার,,এ লাশের ভার বইতে পারবেন তো??”
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একে এম গোলাম রব্বানী বলেন, “অনশনরত শিক্ষার্থীর জন্য আমাদের সব ধরণের সহযোগিতা থাকবে। ও যদি চায় আমরা তাকে হাসপাতালে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যেতে পারি।”
প্রশাসনের কেউ তার সাথে কেন দেখা করেনি বা তার দাবি নিয়ে কথা বলেনি তা জানতে চাইলে এড়িয়ে যান প্রক্টর।
বার্তা কক্ষ