আমিরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেববুল্লাহ বলেছেন, ‘যিনি আল্লাহর হুকুম মানেন তিনিই পীরের মুরিদ। পীর, মুরীদ করেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে, পীর নিজেকে খুশি করার জন্য নয়।’
>১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের ওয়্যারলেচ খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স মাঠে জমইয়াতে হিযবুল্লাহর জেলা সম্মেলন ও ঈছালে ছওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের ওয়্যারলেচ খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স মাঠে গত বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার বাদ জুমা আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি হয়।
বয়ানে ছারছীনা পীর বলেন, ‘বর্তমান জামানায় বহু ওয়াজ নসিয়ত হচ্ছে। এসব ওয়াজ নসিয়ত কি শোনার জন্য না আমলে আমলের জন্য? ফিৎনার জামানায় আল্লাহর দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে খাঁটি মুসলমান হয়ে। হক্কানী আলেমের অনুসরণ করলে রাসূলের অনুসরণ করা হয় । হক্কানী আলেম হয় আমলের মাধ্যমে। আজ আলেম নাম নিয়ে ওয়াজের মধ্যে নিজের নতুন নতুন মত সৃষ্টি করছে। আবার ওয়াজের নামে হক্কানী পীর মাশায়েখদের বিরুদ্ধাচারণ করতে শোনা যাচ্ছে।
মাযহাব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ এ দেশে যাদের মাধ্যমে আমরা ইসলাম পেয়েছি তারা হলেন হক্কানি পীর মাশায়েখ। এ সকল পীর মাশায়েখ তারা মাযহাব মানতেন । আর ওই সকল ব্যক্তিরা আলেম নামধারী হয়ে মাযহাবের বিরুদ্ধে কথা বলছে। আমরা হানাফী মাযহাবের। চার মাযহাবে ইমামই হক। আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসরণ করি। তারাবির নামাজ ৮ রাকাত নয় ২০ রাকাত। যারা তারাবিহ নামাজ নিয়ে ভ্রান্ত কথা বলে তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।
দীনিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে ছারছীনার পীর বলেন, ‘আজ দেশে বহু মাদ্রাসা আছে সেখানে সুন্নতের বালাই নেই। সুন্নতের আমলের পরিবেশ করতেই সমগ্র বাংলায় দীনিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করছি। সুন্নতের উপর আমল করার চেষ্টা করবেন। জাহেলিয়াতের সুরাত ছেড়ে সুন্নাতের সুন্নাতের বেশ দরুন। তরিকা চর্চা করা পীর আউলিয়াদের দেখানো পথ। এ পথে মানুষ আল্লাহ ওয়ালা হয়। আপনার সন্তানকে আমলি পরিবেশ শেখান।’‘
জেলা জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সভাপতি হাজী আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খন্দকারের উপস্থাপনায় মাহফিলে বক্তব্য রাখেন জমইয়াতে হিযবুল্লাহর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমিন সালেহী, জমইয়াতে হিযবুল্লাহর কেন্দ্রীয় মুবাল্লেগ মাওলানা রুহুল আমিন আফসারী, যুব হিযবুল্লার কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মফিজ উদ্দিন জিহাদী, ছারছীনা দারুচছুননাত জামেয়া-এ-নেছারিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ, ছাত্র হিযবুল্লাহর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ ফয়রাবী ও মহাসচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাসিম উদ্দিন, ওসি তদন্ত মোঃ হারুনুর রশিদ, সদর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন আহ্মেদ জিন্না আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান, বাগাদী দরবার শরীফের পীরজাদা মাওঃ মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ খান ইউসুফী, মদনা দরবার শরীফের পীরজাদা শাহ মোঃ কাওছার, জমইয়াতে হিযবুল্লাহর বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সংগঠনের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।