চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৪নং সহদেবপুর (পূর্ব) ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ও পালাখাল বাজারের চৌরাস্তাসহ গুরুত্ব স্থানে চুরি, ছিনতাই, দূর্ঘটনা রোধে ও ইউনিয়ন পরিষদে থাকা রাষ্ট্রীয় মালামাল ও কাগজপত্র নিশ্চিতে নিরাপত্তা রাখার লক্ষে অত্যাধুনিক মানের নতুন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
ইউপিতে গিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (২৩ জুনÑ ৪নং পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ পালাখাল বাজারস্থ ইউপি ভবনে ওই ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন তহবিল ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমাম হোসেন সোহাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও প্রচেষ্টায় প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এ ইউনিয়ন পরিষদে ও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উন্নত মানের ৮টি সিসি ক্যামেরা ও একটি মনিটর স্থাপন করা হয়। যা কচুয়া সাইভার পার্ক নামের একটি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ করেন।
সিসি ক্যামেরাগুলো যে স্থানে সাটানো হয়েছে- চেয়ারম্যানের কার্যালয়, বারান্দা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশ পথে ও বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে সিসি ক্যামেরা গুলো সাটানো হয়েছে। তন্মধ্যে ওই সকল সিসি ক্যামেরার বিভিন্ন দৃশ্য ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগ নিজ কার্যালয়ে বসে মনিটরের মাধ্যমে তার সার্বিক তদারকি করবেন।
পালাখাল গ্রামের অধিবাসী মো.রনি সর্দার, আলী নূর সর্দারসহ আরো কয়েকজন জানান, কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে পূর্ব সহদেবপুর ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমাম হোসেন সোহাগ তাঁর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও আন্তরিকতায় এ প্রথম ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে এই ইউনিয়নে ডিজিটালের আওতায় আনতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানের এ উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানান।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমাম হোসেন সোহাগ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘জনগণের কল্যাণে সর্বদা কাজ করার জন্য তাদের মূল্যবান ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমানে আমার এ ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি অনেক মূল্যবান মালামাল রয়েছে। এসকল মালামাল রক্ষাণাবেক্ষণ, বাজারে চুরি, ছিনতাই রোধ, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিহিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি।
তিনি আরো জানান, এ ইউনিয়নে হাতের লেখা কোন সনদের কাজ নেই, ডিজিটালের আওতায় সকল কাগজপত্র ইতিমধ্যে অনলাইন করণ হয়েছে। ভবিষ্যতে ইউনিয়নবাসী যাতে আরো সুবিধা পায়, সেজন্য ইউনিয়নবাসীর জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্স দেয়া হবে। সাধারণ জনগন এ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে শুধু মাত্র যাতায়াতের অর্থাৎ গাড়ির গ্যাসের বিল পরিশোধ করে এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। চালকের বেতন পরিষদ বহন করবে।
এছাড়াও ইউনিয়নবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে এ ইউনিয়নের নাম পরিবর্তনের ফাইল চাঁদপুর ডিসি মহোদয়ের কার্যালয় থেকে এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে রয়েছে।
ইউনিয়নবাসী অচিরেই পালাখাল মডেল ইউনিয়ন নামে নতুন ইউনিয়ন পাবে বলে এখন সময়ের দাবি।
প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু