আলোচিত মেধাবী ছাত্রী মরিয়ম সব বিষয়ে শূন্য : অনলাইনে তোলপাড়

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্কআপডেট: ০৪:২৭ অপরাহ্ণ, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, রোববার

মরিয়ম মালেক আগে স্কুলের তারকা ছিল। এখন সব বিষয়ে শূন্য পেয়ে সে বনে গেছে জাতীয় তারকা

পরীক্ষার ফল দেখতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তালিকার উপরের দিকেই চোখ বোলাচ্ছিল মরিয়ম মালেক। শীর্ষস্থান অধিকারীদের মধ্যে নিজের নাম না দেখে একটু অবাকই হলো।

তারপরও আশা ছিল, মেডিক্যাল স্কুলে ভর্তির উপযুক্ত নম্বর অন্তত পাবে সে। কিন্তু যখন ফলের তালিকায় নিজের নাম খুঁজে পেল, তখন মাথা চক্কর দিলো।

এর আগের পরীক্ষাগুলোতে সবসময়েই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এসেছে মরিয়ম। মিসরের হাই স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচাইতে ভালো ছাত্রী হিসেবেই গণ্য করা হতো তাকে। অথচ হাইস্কুলের শেষ পরীক্ষায়ই সে ফেল করল!

শুধু ফেল বললে কম হবে, কারণ যে সাতটি বিষয়ে সে পরীক্ষা দিয়েছিল, তার সবগুলোতেই শূন্য পেয়েছে সে।
বিস্ময়ে হতবাক মরিয়ম বলছিল ‘আমি কানে কিছু শুনছিলাম না। মুখ থেকে কথা বের হচ্ছিল না। এটা কিভাবে সম্ভব? আমি কি করে সবগুলোতে শূন্য পেলাম?’
মরিয়মের সমর্থনে মিশরে ছাত্র বিক্ষোভ।
প্রাথমিকভাবে গুজব ছড়িয়েছিল যে মিসরের সংখ্যালঘু কপটিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ার কারণে মরিয়মকে ফেল করানো হয়েছে।
তবে এই তত্ত্ব বাতিল হয়ে গেছে। এখন তার পরিবার বিশ্বাস করে যে মরিয়ম দুর্নীতির শিকার।
মরিয়মের ভাই বলছে, ‘হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়তো পরীক্ষা বোর্ড মরিয়মের উত্তরপত্র এমন কারো সাথে বদলে দিয়েছে যার পরীক্ষা মোটেই ভালো হয়নি’।

মিসরের শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায় না, এমন নয়। তবে মরিয়ম মালেকের এই ঘটনা অনলাইনে বিপুল সংখ্যক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

হাজার হাজার মানুষ এখন টুইটারে ‘আই বিলিভ মরিয়ম মালেক’ নামে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করছে। তার সমর্থনে একটি ফেসবুক পাতাও চালু হয়েছে যাতে এরই মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ লাইক দিয়েছে।

চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫।

Share