চাঁদপুরে মিষ্টি আলুর চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর জেলার সকল উপজেলায় ৩ শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৬শ’৪৫ মে.টন ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের ২০২১-২২ রবি মৌসুমের আওতায় চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বার্ষিক রির্পোট মতে সোমবার ১৮ জানুয়ারি এ তথ্য জানা গেছে।
চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল । মেঘনা, পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে।
এ বছর চাঁদপুরে ৬ হাজার ৬ শ ৪৫ মে. টন মিষ্টি আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ শ’ হেক্টর জমিতে। চাঁদপুরের কৃষকগণ সাধারণতঃ মিষ্টি আলরু চাষ করে থাকে।
চাষিদের ঋণ সহায়তা দিলে চরাঞ্চলগুলোতে মিষ্টি আলুর চাষ সম্ভব। সাধারণ মানুষের ভেতর এর চাহিদা রয়েছে। মতলবের চরইলিয়ট,চর কাসিম,ষষ্ট খন্ড বোরোচর, বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেস্বর, জাহাজমারা, লগ্মীমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেববাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি এলাকা গুলোতে এর চাষ করা ব্যাপক করা সম্ভব ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, চাঁদপুর সদরে চাষাবাদ ১১৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩ শ’ ১৭ মে.টন। মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ৩৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ শ’ ৫ মে.টন।
মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ শ’২ মে.টন । হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ১৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ শ’২ মে.টন।
শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ১০ হেক্টর এবং উৎপাদন ২ শ’ ১ মে.টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ৩০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শ ৫ মে.টন। হাইমচরে চাষাবাদ ৬০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২ শ’ ৯ মে.টন।
এ দিকে আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা ব্যাপক হারে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও চাষাবাদ হয়ে থাকে।
বিশেষ করে চাঁদপুরের মতলবে ও হাইমচরের চরাঞ্চলে মিষ্টি আলুর উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। মিষ্টি আলু কম খরচে ও সহজেই চাষাবাদ করা সম্ভব ।
চর এলাকায় এর ব্যাপক চাষাবাদ হয়ে থাকে। বেলে মাটি, আদ্র ও নদী তীরবর্তী এলাকায় মিষ্টি আলু চাষাবাদ উপযোগী। সার ও পানি সেচ ব্যতীত এর চাষাবাদ সম্ভব। তাই চাঁদপুরের চরাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া মিষ্টি আলু চাষের উপযোগী বলে কৃষিবিদ রা জানান।
চিকিৎসকদের মতে, মিষ্টি আলু ভাতের বিকল্প ও সুস্বাদু। এতে ভিটামিন এ ,সি ও খনিজ রয়েছে। যা ভাতে নেই । প্রেটিন ,কার্বোহাইড্রেট,ক্যালসিয়াম,লৌহ,ভিটামিন ১, ভিটামিন ২ মানুষের দেহে প্রয়োজন। মিষ্টি আলু খেলে এর চাহিদা পুরণ হবে।
আবদুল গনি,
১৯ জানুয়ারি ২০২২