আ’লীগ নেতার হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত: পরীক্ষা স্থগিত

স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষকগণ মঙ্গলবারে (০১ ডিসেম্বর) বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে বিচার দাবি করেছেন।

এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্কুলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া জানান, ‘বাংলা পরীক্ষা শুরুর আগে নবম শ্রেণির ছাত্র সাগর স্কুলের নির্দিষ্ট ড্রেস না পড়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে। এসময় দায়িত্বরত শিক্ষক দেবাশিষ কুমার প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে আসার জন্য ওই ছাত্রকে বলেন। পরে ওই ছাত্র বিষয়টি তার পিতা দুধসর ইউনিয়নের মেম্বর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দীনকে জানালে তিনি স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়াকে লাঞ্ছিত ও সকল শিক্ষকদের গালিগালাজ করেন। এতে শিক্ষকরা অপমানিত হয়ে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন।’

এদিকে স্কুলের ১২’শ ছাত্রছাত্রীর বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে ভাটই বাজার পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। শফিউদ্দীন মেম্বরের বিচার না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন শিক্ষকরা।

অপরদিকে বিষয়টির সুরাহা করতে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জরুরি সভা আহ্বান করেছেন।

অভিযুক্ত ইউপি মেম্বর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দীন শিক্ষক মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, শিক্ষকরা আমাকে ভুল বুঝেছেন।’

এ ব্যাপারে ভাটই বাজার পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই আরিফুজ্জামান জানান, ‘একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতা শফিউদ্দীন মেম্বরের বিচারের দাবিতে শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করেছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার এমদাদ হোসেন স্কুল শিক্ষক ও অভিযুক্ত শফিউদ্দীন মেম্বরের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহ করেসপন্ডেন্ট

 ।। আপডেট : ০৮:০০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫, ঙ্গলবার

ডিএইচ

Share