সারাদেশে আলিম পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ চলছে। আজাদ হোসেনও ফরম ফিলাপ করার জন্য ফি জমা দিয়েছেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রবাবল ক্যান্ডিডেট লিস্টে তার নাম আসেনি। ফলে আসন্ন আলিম পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে আজাদ হোসেনের।
দুই বছর পর যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো আজাদ হোসেন ও তাঁর পরিবারের। সে হাজিগঞ্জ উপজেলার ৬ নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী খাঁন বাড়ীর মিজানুর রহমানের ছেলে।
শিক্ষার্থী আজাদ হোসেন বলেন, আমার মাদ্রাসার আলিম ক্লাসের রোল নাম্বার এক। টেস্ট পরীক্ষার সকল বিষয়ে পাশ করেছি। পরীক্ষা দিতে না পারলে আমার দুটি বছর ঝরে যাবে। আমি চাই আলিম পরীক্ষা দিতে।
আজাদ হোসেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বেলচোঁ করিমাবাদ ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
আজাদ হোসেনের বাবা মিজানুর রহমান বলছেন, আজাদ বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পাস করে। তারপর মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। গত দুই বছর ধরে তার পড়াশোনার খরচ বহন করছি। এবার আলিম পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য ২৩’শ টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, বোর্ড থেকে ফরম ফিলাপের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না।
মাদ্রাসার লাইব্রেরিয়ান মফিজুল ইসলাম বলেন, আজাদ যখন ভর্তি হতে এসেছিল, তখন বোর্ড থেকে তার ভর্তির অনুমতি দিয়েছে। এখন কি কারণে তার ফরম ফিলাপের লিস্টে নাম আসেনি তা জানার চেষ্টা করছি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান আশরাফী বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আজাদ যেন পরীক্ষা দিতে পারে, তার জন্য আমরা বোর্ডের যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।
হাজিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্কুল থেকে মাদ্রাসায় ভর্তি বা মাদ্রাসা থেকে স্কুলে ভর্তির কোন নিয়ম আছে কিনা তা জানতে হবে। আমি গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখব।
স্পেশাল করেসপনেডট