চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৮:৪৩ অপরাহ্ণ, ২৬ আগস্ট ২০১৫, বুধবার
বিজিবির টহলদলের ওপর হামলাকারী মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী উৎখাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশন পার্টিকে দমনের জন্য যে ধরনের অপারেশন দরকার, তা চালানো হবে।
তিনি বলেন, সেটা কমবিং (চিরুনি) অপারেশন বা যৌথ অভিযানও হতে পারে; যাতে তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটাতে পারে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আরাকান লিবারেশন পার্টির সদস্যরা বিজিবির একটি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে বিজিবির বড়কদম বিওপির নায়েক জাকির হোসেন আহত হন। এ সময় বিজিবি পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে।
পাল্টা জবাবের নির্দেশ বিজিবি মহাপরিচালকের
এদিকে বিজিবি সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী এসব সন্ত্রাসীর মোকাবিলায় এই মধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, পাল্টা আক্রমণে সন্ত্রাসীরা যাতে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বুধবার বান্দরবানে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাল্টা জবাব দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া বিজিবি সদস্যদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বুধবার সকালে বান্দরবানে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষে বিজিবির নায়েক জাকির হোসেন আহত হয়েছেন। থানচির বড়মদকে এই ঘটনার পরই আলীকদম থেকে হেলিকপ্টারে অতিরিক্ত বিজিবি ও সেনাসদস্য পাঠানো হয়।
আরাকান আর্মির সদস্যরা ১৩টি ঘোড়া নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। এসময় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সদস্যরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।
এ সময় বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গোলাগুলির একপর্যায়ে বিজিবি নায়েক জাকির হোসেন আহত হন। এরপরই আরাকান আর্মির সদস্যরা বিজিবি ক্যাম্প ঘেরাও করে ফেলে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে আলীকদম থেকে হেলিকপ্টারে অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি সদস্য পাঠানো হয়। এদিকে আহত বিজিবি নায়েককে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সিএমএইচ এ নেয়া হয়েছে।
এদিকে গোলাগুলির পর থেকে বড়মদক বাজারে দোকান-পাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। হেলিকপ্টারে করে অতিরিক্ত বিজিবি ও সেনা সদস্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বান্দরবানের অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় মায়ানমারের বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপ রয়েছে। এদের মধ্যে আরাকান আর্মি (এএ) আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি), আরাকান ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপিএ) অন্যতম।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫