মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত আরও ২৬ বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন। এ বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সোমবার গেজেট জারি করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৩৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
এর আগে সরকার গত বছরের ১২ অক্টোবর ৪১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়। বীরাঙ্গনারা প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা করে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মতো অন্যান্য সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, অন্য বীরাঙ্গনাদেরও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আনতে কাজ করছেন তারা। এ জন্য তাদের কাছে ৪০০ থেকে ৫০০ জনের একটি তালিকাও রয়েছে।
যারা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন
যশোরের মোমেনা খাতুন ও রহিমা খাতুন, নড়াইলের নিগার সুলতানা, বাগেরহাটের আনোয়ারা খাতুন, কুষ্টিয়ার মাছুদা খাতুন, বরগুনার সিতারা বেগম। সাতক্ষীরার আছিয়া খাতুন, ছফুরা খাতুন ও মোসা. সোনা এবং বরিশালের কহিনুর বেগম, কুমিল্লার বেলা রানী দাস। সিলেটের জোস্না বেগম, লাইলী বেগম ও নমিতা রানী দাস। গোপালগঞ্জের রিভা বেগম, গাইবান্ধার রাজকুমারী রবিদাস ফুলমতি। শেরপুরের আয়শা খাতুন, সরফুলী বেগম, বিবি হাওয়া, জোবেদা বেওয়া (নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর), জোবেদা বেওয়া (নালিতাবাড়ীর বেনুপাড়া), হাসেনা বানু ও আসিরন বেওয়া (আম্বিয়া)। ঢাকার আমেনা বেগম, ফিরোজা বেগম ও শেখ ফাতেমা আলী।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৯:৫০ অপরাহ্ন, ১৪ মার্চ ২০১৬, সোমবার
এমআরআর