নাম না জানা এক ব্যাধির কবলে পড়েছেন চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার নয়ানী গ্রামের খেটে খাওয়া দিন মজুর মাদু রাড়ীর পুত্র বিল্লাল রাড়ী (৩৫)। বিল্লাল রাড়ী স্ত্রীসহ দুই পুত্র সন্তানের জনক।
বিল্লাল রাড়ী বিয়ের পর স্ত্রীকে ভরন পোষন দিতে গিয়ে কাজে লাগেন ইটভাটায়। ইটের ভাটায় ইট পড়ে গিয়ে প্রথমে ডান হাতে দুটি আঙ্গুল কেটে যায়। তিন বছর পূর্বে বাম হাতে মার্বেলেম মত গোটা দেখা দেয়। এর পর থেকে তা বাড়তে থাকে।
সাথে সাথে চলে স্থানীয় চিকিৎসা। দেখলে মনে হবে যেন হাতে একটি পাথরের টুকরা। অক্রান্ত বাম হাত তার দেহের সব অঙ্গের চেয়ে ভারী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে তা মাথায় ৯টি স্থানে ছড়িয়ে গেছে। বিকট যন্ত্রনায় বিল্লাল মিয়া সব সময় ব্যথা অস্থির।
এ রোগের চিকিৎসার কোনো সন্ধান পেলেই সেখানে ছুটেছেন বিল্লাল মিয়া। চিকিৎসা ব্যায় মেটাতে গিয়ে বাবার গরু, জমি বিক্রি করে চিকিৎসা করেছে। চিকিৎসায় আজও কোন ফল পায়নি বিল্লাল। অর্থের অভাবে বিল্লাল মিয়া উন্নত কোনো চিকিৎসা নিতে পারছেনা।
এ ব্যাপারে বিল্লালের পিতা মাদু রাড়ী জানান, আমার ছেলের সারা শরীরে এ রোগ ছড়িয়ে গেছে। দিন দিন তার শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দেখানো হয়েছে। কেউ কোন সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেনি। রোগের মাত্রা শুধু বেড়েই চলছে।
এমন হতাশার মধ্যেই পিতা মাদ তিন বছর যাবৎ ু বিল্লালের চিকিৎসা করে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান তার ছেলের সন্তান ও তার স্ত্রীর মায়া অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা করেছি। সঠিক কোন চিকিৎসা না পেয়ে নিয়মিত হতাশ হয়ে পড়েছি।
ছেলের চিকিৎসার জন্য আমার যা ছিল তা শেষ। ডাক্তার বলেছে এ রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে রয়েছে কিন্তু টাকার অভাবে তা করাতে পারছি না। তাই তিনি আবেগ জনিত কন্ঠে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ছেলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো।
যন্ত্রনায় কাতর বিল্লাল মিয়া জানায় ক্ষত স্থানে শুধু ব্যাথা ও চুলকাতে থাকে। আমি আর এ যন্ত্রনা সইতে পারছি না, আমি বাচঁতে চাই। আমাকে বাচান। আমি এ কষ্ট কিছুতেই সইতে পারছি না। আমাকে বাচানোর জন্য সকলের সহযোগিতা চাচ্ছি।
প্রতিবেদক : বিএম ইসমাইল