Home / বিনোদন / ‘আমি কিন্তু বেশ সুন্দরী, মরে গেলেও মিডিয়ার কাউকে বিয়ে করবো না’
আমি কিন্তু বেশ সুন্দরী, মরে গেলেও মিডিয়ার কাউকে বিয়ে করবো না

‘আমি কিন্তু বেশ সুন্দরী, মরে গেলেও মিডিয়ার কাউকে বিয়ে করবো না’

দিনের পর দিন চলচ্চিত্রের ক্যামেরার সামনে দেখা যাচ্ছে নতুন নতুন মুখ। কেউ সরাসরি যোগ দিচ্ছেন চলচ্চিত্রে, কেউবা আবার বিভিন্ন রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে পা রাখছেন। এমনই একজন তানিয়া বৃষ্টি।

২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়ে যাত্রা শুরু করেছেন মিডিয়াতে। এরপর পিছন ফিরে আর তাকাতে হচ্ছে না তানিয়াকে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মিডিয়ার বিভিন্ন স্থরে।

আজ বিজ্ঞাপনের ক্যামেরার সামনে তো কাল নাটকের। কাল নাটক তো পরশু চলচ্চিত্রের ক্যামেরার সামনে কাটছে তানিয়ার সময়। এরইমধ্যে দেশের নামিদামি সব কোম্পানির বিজ্ঞাপন, বেশ কয়েকটি নাটক এবং পাঁচটি ছবি রয়েছে তার ঝুলিতে।

ক্যারিয়ারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি হাজির হয়েছিলেন ঢালিউড খবর সংশ্লিষ্ট একটি পোর্টালের সামনে

Tania Bristi
এখন পর্যন্ত কয়টি ছবিতে কাজ করেছেন?
তানিয়া বৃষ্টি : চারটি ছবির কাজ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে দুইটি ছবি মুক্তিও পেয়েছে। একটি ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’ এবং আরেকটি ‘ঘাসফুল’। এছাড়াও কয়েকদিন আগে ছটকু আহমেদের ‘দলিল’ নামের আরেকটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। কিছু দিনের মধ্যেই ছবিটির শুটিং শুরু হবে।
‘দলিলে’ অভিনয় করতে যাচ্ছেন। ছবিটিতে আপনার চরিত্র সম্পর্কে যদি বলতেন?

তানিয়া বৃষ্টি :‘পারুল চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। এতে মাহারা অন্ধ বাবাকে নিয়ে সংসার করি আমি। বন্ধু হিসেবে আমার দুইটা গরু থাকে। তাদের সাথেই কাটে আমার সারাটা সময়। ভালবেসে গুরু দুইটির নামও দেই। একটি নাম সুজন এবং আরেকটির নাম কাঞ্চন। এভাবেই এগিয়ে যাবে ছবিটিতে আমার চরিত্র।’

নায়িকা হিসেবে আপনি নতুন। তারপর আবার যে কয়টি ছবিতে কাজ করেছেন সব কয়টিতেই নতুনদের বিপরীতে আপনাকে দেখা গেছে বললে একদমই ভুল হবে না। আপনার কি নতুনদের বিপরীতে কাজ করতে ভাল লাগে নাকি পুরাতনদের সাথে কাজের সুযোগ হয়ে ওঠে না?

তানিয়া বৃষ্টি : সেরকম কিছু না। আমি নিজেও নতুন তাই নতুন-পুরাতন দেখি না। আমার যেখানে অভিনয়ের সুযোগ থাকে, সেখানেই আমি কাজ করি। ভবিষ্যতেও এটাই করবো। আর পুরাতনদের কথা বলতে গেলে বলতে হবে তাদের সাথে কাজের অফার যে আসে না, সেরকমও কিছু না। কিন্তু পুরাতনদের সাথে কাজ করতে গেলে নিজের স্থান খুঁজে পাই না। গল্প শুনেই কাজের মন উঠে যায়।

 

আপনি যে কয়টি ছবিতে কাজ করেছেন প্রায় সব কয়টি ছবিতেই দুই নায়িকা ছিল। এটার কারণ কি?

তানিয়া বৃষ্টি : আমি আগেই বলেছি আমার যেখানে অভিনয়ের সুযোগ থাকবে সেখানেই আমি কাজ করবো। দুই নায়িকা বা তিন নায়িকা থাকলেও আমার তাতে বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই।

এরইমধ্যে সোহানুর রহমান সোহানের মতো পরিচালকের কাজও করতে দেখা গেছে আপনাকে। কোন নির্মাতার সাথে কাজ করতে বেশি ভাল লেগেছে?

তানিয়া বৃষ্টি : আসলে সবার কাজ করতে গিয়েই খুব ভাল সাপোর্ট পেয়েছি। ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’ ছবিটা আমার প্রথম কমার্শিয়াল ছবি। এটাতে প্রথম যখন শট দিয়েছিলাম একবারেই শটটা ওকে হয়েছিল এবং সবাই হাতে তালি দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করেছিল। ওখান থেকেই আমি সবার সাথেই মিশে গিয়েছি। এটা ভাবতেই আমার অনেক ভাল লাগে। এরপর আর কারো সাথে কাজ করতে গিয়ে আমি আনইজি ফিল করিনি। যাদের সাথেই কাজ করেছি সবাই আমাকে হেল্প করেছে। আমিও তাদেরকে সাধ্যমতো হেল্প করার চেষ্টা করেছি। এরমাঝে সোহান ভাইয়ের কথা বলতে গেলে একটু বেশিই বলতে হবে। কারণ উনি আমার কানের দুল পর্যন্ত নিজে হাতে করে লাগিয়ে দিয়েছে। শুধু কানের দুলই নয় প্রতিটি জিনিসই উনি খুব যতেœর সাথে দেখেছেন। বলতে পারেন সোহান ভাইয়ের ইউনিটের সাথে একপ্রকার পরিবারের মতোই মিশেছি। কাজটা যে কিভাবে শেষ হয়েছে বুঝতেই পারিনি।

Tania Bristi2

এখন দেখা যায় নতুন নতুন নায়িকারা নির্দিষ্ট একটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন এবং একই প্রতিষ্ঠানের ছবিতে কাজ করেন। আপনি এটাকে কিভাবে দেখছেন? আপনার কাছে যদি এমন কোনো প্রস্তাব আসে তাহলে কি করবেন? এমন কোনো প্রস্তাব আসছে কি?

তানিয়া বৃষ্টি : এমন কোনো প্রস্তাবে অবশ্যই আমি রাজি হবো। যদি ভাল প্রতিষ্ঠান হয়। এখন বাংলাদেশে জাজ মাল্টিমিডিয়া এই ধরনের কাজ করে। নতুন শিল্পীদের ক্ষেত্রে এটার ভাল দিকই বেশি। কারণ একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার শিকার হতে হয় নতুনদেকে। যেটা একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে প্রতারণার শিকার না হওয়ার সম্ভবনা থাকে। নতুদেরকে প্রথমে দর্শক সেভাবে গ্রহণ নাও করতে পারেন। পরবর্তীতে নতুনদেরকে যদি আবারো সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে তার ভেতর থেকে ভাল কিছু বের করা সম্ভব এবং সুপার-ডুপার হিট ছবিও বের করা সম্ভব। অন্য এক প্রতিষ্ঠানের কাজ করলে এটা বেশির ভাগই নয় না। একটা ছবি ফ্লপ হলে ওই প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী ছবি থেকে আগের ছবির নায়িকাকে বেশির ভাগ সময়ই বাদ দেওয়া হয়। আমার কাছেও এ ধরনের কয়েকটি প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু ভাল প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় আমি চুক্তিতে যাইনি।

এখন নতুন নতুন নায়িকাদেরকে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। আপনার কাছে সেরকম কোনো অফার আছে কি?

তানিয়া বৃষ্টি : আমিও যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করতে চাই। আমি আগেই বলেছি কাজ করার জায়গা থাকতে হবে। এবং ব্যাটে-বলে মিলতে হবে। আমার কাছেও এ ধরনের অনেক কাজের অফার আসে। প্রথমে সব কিছুই ঠিকঠাক চলে। কিছু দিন পর অনেকের অনেক চাহিদার কথা জানতে পারি। তখন আর ওই কাজ করার ইচ্ছা থাকে না। যার কারণেই হয়তো এখনো এই ধরনের কোনো ছবিতে কাজ করা হয়নি। তবে ভাল কিছু পেলে অবশ্যই করবো।

Tania-3

কোন ধরনের ছবিতে নিয়মিত হতে চান?

তানিয়া বৃষ্টি : সব ধরনের ছবিতেই আমি নিয়মিত হতে চাই। প্রথম থেকেই যেটা বলে আসছি আমার কাজের জায়গা যেখানে থাকবে আমি সেখানেই করতে চাই। সেটা হোক অফপট্রাকে বা কমার্শিয়াল অথবা অন্য কিছু।
স্বপ্নের কোনো ক্যারেক্টার আছে, যে ক্যারেক্টারে কাজ করেছেন বা করতে চান?

না বললে ভুল হবে। কারণ আমার মনে হয় প্রতিটি শিল্পীরই কোনো না কোনো চরিত্র পছন্দ থাকে। আমারও আছে। ছটকু আহমেদের যে ছবিটিতে অভিনয় করতে যাচ্ছি এই ছবিতেই আমি আমার পছন্দের চরিত্র করবো। এখানে আমি গ্রামের একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করবো। যে মেয়েটির সাথে দুইটি পশুর সম্পর্ক থাকবে।

আপনাকে নাটকেও কাজ করতে দেখা যায়। নিয়মিত হবেন কি?
হ্যা, আমি ভাল কিছু নাটকেও কাজ করেছি। তবে নাটকেই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাই না। আমি ছোটবেলা থেকে নাচ শিখেছি। অভিনয়টা সেভাবে শেখা হয়ে ওঠেনি। বলতে পারেন নাটক করার একটাই কারণ সেটা হলো অভিনয় শেখা। তবে নিয়মিত হতে চাই না। মাঝেমধ্যে ভাল গল্প এবং অভিনয় করার জায়গা আছে এমন কিছু কাজ পেলে করবো।

কি কি নাটকে কাজ করেছেন?
২০১৩ সালে প্রথম শুরু করেছিলাম ‘ঝুঁকির মধ্যে আছি’। এরপর ‘সাড়ে বারোটার ভূত’, ‘বনসাই’, ‘সম্রাট’, ‘নাইন এন্ড এ হাফ’ নাটকে কাজ করেছি।

বিজ্ঞাপন সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন?
২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ থেকে বের হওয়ার পর বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। এরমধ্যে অন্যতম গ্রামীন ফোন, সিটি ব্যাংক, হাই স্পিড হেয়ার কালার, এশিয়ান ডুপ্লেক্সসহ বেশ কিছু বিজ্ঞাপন। ভবিষ্যতেও আমি ভাল বিজ্ঞাপনে কাজ করতে চাই।
চলচ্চিত্রে এমন কেউ আছে, যার বিপরীতে নিজেকে ক্যামেরার ফ্রেমে দেখতে চান?

হা হা হা। অবশ্যই আছে। এককভাবে যিনি কয়েক বছর ধরে ঢালিউড কিং হয়ে আছেন। তিনি শাকিব খান। তার বিপরীতে নিজেকে দেখতে চাই। এর মাঝে অফারো এসেছিল কিন্তু ব্যাটে-বলে না মেলার কারণে করা হয়নি। আরো কয়েকটি অফার আছে সব কিছু ঠিকঠাক হলে ব্যাটে-বলে মিলে গেলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো ঢালিউড কিংয়ের বিপরীতে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।
আইডল আছে কি?

আইডল আছে দুই ধরনের। প্রথম হলো সালমান শাহ্। আল্লাহ যদি তাকে বাচিয়ে রাখতেন তাহলে যে কোনো মূল্যেই হোক না কেনা তার বিপরীতে একটা হলেও ছবি করতাম। দ্বিতীয় হলো অভিনয়ের বিষয়ে যদি দেখি বা যদি কারো মতো অভিনয় করতে চাই তাহলে বলবো শাবনূর ম্যাম এবং শাবানা ম্যাম।

 

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এখনকার নায়িকাদের একটু খোলামেলাভাবে পর্দায় নিজেদেরকে উপস্থাপন করতে হচ্ছে। এ যুগের নায়িকা হিসেবে আপনি নিজেকে কতোটুকু পারফেক্ট মনে করেন?

তানিয়া বৃষ্টি : চরিত্রের প্রযোজনে সব কিছুই করতে পারবো। তবে সেটা অবশ্যই চরিত্রের ডিমান্ড থাকতে হবে।
নায়িকা হতে কি কি যোগ্যতা বা গুণ থাকা প্রযোজন যেটা আপনার মাঝে আছে?

তানিয়া বৃষ্টি : অভিনয় ও নাচ অবশ্যই জানা দরকার। এরপর বলবো গ্ল্যামার তো থাকতেই হবে। কারণ দর্শক যখন পর্দায় একজন নায়িকাকে দেখবেন তখন যেন অন্য কোনো দিকে নজর না দিতে পারে। এবং নায়িকা যখন পর্দায় আসবে প্রথম দেখাতেই যেন তার প্রেমে পড়ে যায় এমন গ্ল্যামার থাকা প্রযোজন মনে করি। আমার মাঝে আছে বললে বলতে হবে, ছোটবেলা থেকে নাচ শিখেছি। নাচের কোনো সমস্যাই আমার নেই ইনশাআল্লাহ। আর অভিনয়ের কথা বলতে গেলে বলবো, এখন পর্যন্ত যাদের সাথেই কাজ করেছি তারা কেউ একদিনও বলতে পারেননি যে, তানিয়া তোমার কাজ হচ্ছে না। ছোটবেলা থেকে অভিনয় শিখিনি ঠিকই কিন্তু কাজের মধ্যে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই করি। যার কারণে হয়তো এখনো কোনো সমস্যা হয়নি। আর গ্ল্যামারের কথা বলতে গেলে বলবো আমি মোটামুটি দেখতে সুন্দরী হা হা হা।

আপনি যখন কোনো চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেন তখন ওই চলচ্চিত্রের কোন কোন দিকটা দেখে চুক্তি স্বাক্ষর করেন?

তানিয়া বৃষ্টি : প্রথমে পুরো গল্পটা শুনি। এরপর এতে আমার চরিত্রটা কি। আমার অভিনয়ের কতোটুকু জায়গা আছে। আমি কি ওই চরিত্রটা শেষ পর্যন্তম প্লে করতে পারবো কিনা। মানুষ কতোটুকু টাচি হবে আমার অভিনয়ে। এরপর দেখি আমার সহশিল্পী কে থাকবেন। এরপর পরিচালনা করবেন কে।

এখন অনেক নায়িকাকেই দেখা যায় নিজের ছবিতে আইটেম কন্যা হিসেবেও পারফর্ম করে। আপনার কাছে যদি এমন কোনো অফার আসে তাহলে কি করবেন?

তানিয়া বৃষ্টি : আমার নিজের ছবিতে যদি এমন কোনো অফার আসে তাহলে দর্শক আমাকে দেখবে। কিন্তু অন্য কোনো ছবিতে আইটেম কন্যা হিসেবে কোনো দিনই আমাকে দেখা যাবে না। ছোটবেলা থেকে নাচ শিখেছি ঠিকই কিন্তু আইটেম কন্যা হতে আসিনি চলচ্চিত্রে।

কাজের মধ্যে কাউকে প্রতিযোগী মনে হয় কি?

তানিয়া বৃষ্টি : নিজেকেই নিজের প্রতিযোগী মনে হয়। কারণ বার বার নিজেকে বিভিন্নভাবে ভেঙ্গে গড়ার চেষ্টা করছি।
ভবিষ্যত মিডিয়াতে নিজের স্থান কোথায় দেখতে চান? শুধু নায়িকাই নয়। একজন গুণী অভিনেত্রী বা অভিনয় শিল্পী হতে চাই।

প্রেম করেন কি?

তানিয়া বৃষ্টি : প্রেম কে না করে? সবাইতো করে একবার না একবার। তবে সত্যি কথা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। তারপরও বলতে হবে এটাই সত্যি আমি প্রেম করিনি। তবে ভাল লাগতো একটা ছেলেকে। আর এখনতো ভাল লাগলেও করার কিছুই নেই।

স্বপ্নের পুরুষ বা লাইফ পার্টনার কেমন হবে?

তানিয়া বৃষ্টি : লাইফ পার্টনার যেই হোক সে যেন অনেক ঠান্ডা মেজাজি হয়। অনেক কেয়ারি হয়। মানুষ হিসেবে যেন অনেক ভাল হয়। দেখতেও যেন ভাল হয়। সে যেন শিক্ষিত এবং ভাল ফ্যামিলির সন্তান হয়। আর সবচাইতে বড় কথা হলো সে যেন আমার থেকেও আমাকে বেশি ভালবাসে।

বিয়ে করবেন কবে?
বিয়ে করতে অনেক দেরি। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো চিন্তা ভাবনা নেই। তবে পড়ালেখা শেষ করি, তারপর ভাববো কবে শ্বশুরের ছেলের গলায় ঝুলবো হা হা হা।
বিয়ের পরেও কি মিডিয়াতে কাজ করবেন?
এখনতো মনে হচ্ছে বিয়ের পর মিডিয়া ছেড়ে দেব। পরে কি করবো সেটা এখনি বলতে পারছি না। কারণ বিয়ের পর শ্বশুরের ছেলে এবং সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই।
যদি এমন হয় মিডিয়ারই কাউকে বিয়ে করতে হবে। তাহলে কোন শ্রেনীর ছেলেকে বিয়ে করবেন? নায়ক, পরিচালক নাকি প্রযোজক?
ঠান্ডা মাথায় বলতে পারি আমি মরে গেলেও মিডিয়ার কাউকে বিয়ে করবো না।
পড়ালেখা কি শেষ?
না। সিদ্বেশ্বরীতে মাকের্টিংয়ে পড়ছি।
পড়ালেখার মাঝে অভিনয় কিভাবে মেইনটেইন করছেন?
সত্যি কথা কি? পড়ালেখা অভিনয়ের জন্য একটু হেমপার হচ্ছে। তারপরও কাজের ফাঁকে যে সময়টুকু পায় সেটা বৃথা নষ্ট করি না। বইয়ের মধ্যেই অবসর সময়টা পার করি।

Tania Bristi help
পুরাতনরা নতুনদেরকে কিভাবে গ্রহণ করছেন?
খুবই ভাল। আমার যাদের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে তারা সবাই অনেক কো-অপারেটিভ। সবাই অনেক ভালবেসেছেন আমাকে। কোনো ভুলত্রুটি হলে বার বার শিখিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত হাতে তালি দিয়ে কাজটি বের করে নিয়েছেন। আমার মনে হয় সিনিয়রদের কোনো ঘাটতি নেই জুনিয়রদের প্রতি।
জীবন চলার পথে মানুষ অনেক সমস্যা, ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যায়। আপনার এমন কোনো ঘটনা আছে যা আপনি বলতে চান?
না। আমার এমন কোনো সমস্যা নেই। কারণ আমার পরিবারের দুই বোনের মধ্যে আমিই ছোট। তাই ছোটবেলা থেকেই অনেক আদর পেয়েছি সবার কাছে। আর সত্যি কথা বলতে কোনো দিন প্রেম করিনি তো, তাই এমন কোনো সমস্যা আল্লার রহমতে আমাকে টাচ করতে পারেনি এখনো হা হা হা।
আমাদের দেশে একটা শ্রেণীর মানুষ আছে যারা এখনো মিডিয়াকে ভাল ভাবে মেনে নিতে পারে না বা গ্রহণ করে না। আপনি তাদের উদ্দেশ্যে কি বলবেন?
তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো সেটা হলো শুধু মিডিয়াতেই নয় প্রতিটি সেক্টরেই খারাপ ভাল আছে। ভাল-মন্দ নিজেই জীবন। নিজে ভাল তো জগৎ ভাল। এটা সবাইকেই মনে রাখতে হবে।
কাজ করতে গিয়ে মজার বা স্মরণীয় কোনো ঘটনা যদি দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করতে চান-
মজার কিনা সেটা বলতে পারবো না। তবে অভিনয় করতে গিয়ে ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’-এ সত্যি সত্যিই একদিন কান্না করেছিলাম। অভিনয়ের মধ্যে নিজেকে এতোটাই উৎসর্গ করেছিলাম যে, মনেই ছিল না যে আমি অভিনয় করছি। এটা আমার কাছে এখন স্মরণীয় ঘটনা বলে মনে হয়।
দর্শকদের উদ্দেশে যদি কিছু বলতে চান?
দর্শকদের উদ্দেশে একটা কথায় বলবো সেটা হলো পুরাতনদের সাথে এখন নতুন নতুন অনেক শিল্পীই কাজ করছে। তাদের মধ্যে আমি একজন। নতুন অবস্থায় কেউ কোনো কাজ হয়তো ভাল করতে পারে না। তারপরও আমি চেষ্টা করছি নিজেকে শতভাগ মেলে ধরার জন্য। আপনারা হলে যান। আমাদের কাজ দেখুন এবং সমালোচনা করুন। কারণ আপনাদের সমালোচনায় পরবর্তীতে চলচ্চিত্রের উন্নতি হবে। এমনকি আমরা নিজেদেরকে ভুল-ত্রুটি থেকে ভাল কাজে আপনাদেরকে উপহার দিতে পারবো।

 

 : আপডেট ০2:১৪ এএম, ২১ মার্চ ২০১৬, সোমবার

ডিএইচ