রাজধানীর গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেটের আমিন জুয়েলার্স থেকে চুরি হওয়া ২১৭ ভরি সোনা ও নগদ ১১ লাখ ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ফরিদগঞ্জ পৌর সভার পশ্চিম বড়ালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই সোনা ও টাকা উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, চুরির সাথে জড়িত সাদ্দাম হোসেন (২২) এর পিতা আমান উল্যাহ কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলম ও গুলশান থানা পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, শনিবার (১৪) এপ্রিল থেকে রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেটের আমিন জুয়েলার্সে অভিনব পদ্ধতিতে চুরির ঘটনা ঘটে।
পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তিন চোরের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। গত ১৬ এপ্রিল সোমবার গুলশান থানা পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফরিদগঞ্জ থানায় অবস্থান নেয়। পরে ১৭ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পৌর এলাকার বড়ালী গ্রামের দিঘির পাড়ের বাড়ি থেকে আমিন জুয়েলার্সে চুরি হওয়া ২১৭ ভরি সোনা ও নগদ ১১ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা চালের ড্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারের মধ্যে ছিলো হার, চুড়ি, গজ, কানের দুল, পেনটানা, টিকলী নোলক ও রিং।
এ ঘটনায় সাথে জড়িত সাদ্দাম হোসেন (২২) পলাতক রয়েছে। তবে সাদ্দামের পিতা আমান উল্যাহকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন পৌর এলাকার পশ্চিম বড়ালী ডাক্তার বাড়ির আমান উল্ল্যার ছেলে। সে ঢাকার গুলশানে রড মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করে। গত রোববার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসে এবং তার নানার বাড়িতে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। নানার বাড়িতে বৃদ্ধ নানা-নানী থাকে।
জানা যায়, গুলশান -২ এর ডিসিসি মার্কেটের ছাদ কেটে চুরি এবং চুরি শেষে ছাদ ঢালাই করে রাখে চোরের দল। চুরির ঘটনায় আমিন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয় আনুমানিক ৩০০ ভরি সোনা ও ২৪ লাখ টাকা খোয়া গিয়েছে। গত পহেলা বৈশাখের পরদিন রোববার সাপ্তাহিক ছুটির কারনে মার্কেট বন্ধ ছিলো। সোমবার সকালে দোকান খুলে দেখা যায় দোকানের ছাদ কেটে সোনা ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপনের উপস্থিতিতে স্বর্ণগুলো পরিমাপ করে এবং জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে। বিষয়টি জেলা পরিষদ সদস্য চাঁদপুর টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদক- আতাউর রহমান সোহাগ