‘এনজি শট’ মানে ‘নট গুড শট’। তারকারা হরহামেশাই এনজি শটের মুখে পড়েন। কখনো সেই অভিজ্ঞতা বিরক্তিকর, কখনো মজার, আবার কখনো মধুর। এই বিভাগে আজ শুনুন আশনা হাবিব ভাবনার স্মৃতি।
সংলাপের কারণে শুটিংয়ে আমার এনজি শট কম হয়। তবে আমার হাসির রোগ আছে। হাসতে লাগলে আর থামে না। হাসির কারণে প্রায়ই শট এনজি হয়ে যায়। দাদার দেশের জামাই নাটকের শুটিংয়ে একবার হাসির রোগ উঠেছিল। শুটিং হচ্ছিল ভারতের মালানিতে। আমার সহশিল্পী মোশাররফ করিম ও বাঁধন। নাটকে আমার জামাই মোশাররফ করিম। স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে কেনাকাটা করি।
খরচের হাত থেকে বাঁচার জন্য বাবা মারা গেছে—এই অজুহাতে দেশে ফিরতে চান মোশাররফ। ক্যামেরা চালু হয়। বাবার মৃত্যুর অভিনয় করতে গিয়ে থেমে থেমে যেভাবে কাঁদছিলেন মোশাররফ ভাই, কাঁদার ধরন দেখে সংলাপ আর কী দেব, হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে যাচ্ছিল। শুধু আমি নই, ইউনিটের সবাই মোশাররফ ভাইয়ের কাঁদা দেখে হেসে ফেলে। মোশাররফ ভাইয়ের কান্না আর আমাদের হাসির কারণে কমপক্ষে ১৫ বার এনজি হয়েছে ওই শটটি।
আরেকবার ভয়ংকর সুন্দর ছবির সেটে এনজি শটের কবলে পড়েছিলাম। দৃশ্যটি ছিল—পরমব্রত আমাকে একটা উপহার দেবেন। তা পেয়ে খুশি হয়ে দৌড়ে এসে পরমব্রতের গালে চুমু দেব। এ ধরনের দৃশ্য করার অভ্যাস তো আগে ছিল না। শটটি দেওয়ার আগে ভয় পেয়ে গেলাম।
ক্যামেরা চলছে। আমি দৌড়ে এসে চুমু দিলাম। পরিচালক অনিমেষ আইচ শটটি বাতিল করে দিলেন। এবার আরও বেশি ভয় পেয়ে বসল। দ্বিতীয়বারও বাতিল। এভাবে পাঁচ-ছয়বারের বেলায় দৃশ্যটি ওকে হয়েছিল। (অনুলিখন: শফিক আল মামুন, উৎস- প্রথম আলো)
করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:০০ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ