‘কত আশা করে মানুষ সন্তানের বিয়ে দেয়। তারা সুখে থাকবে। মাত্র ১৩ দিন হলো বিয়ের। সেই মেয়েটা ছিল আমার সব। একমাত্র মেয়ে। সে এইভাবে হারিয়ে গেল। আমার কী অবস্থা কে জানল? আমার শোকের কথাতো কেউ বলে না!’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বললেন হাসনা বেগম। নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত আঁখিমণির মা তিনি।
গতকাল সোমবার বিকেলে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এসেছিল শোকার্ত আখিমণির স্বজনরাও। পরিবারটি থাকে রাজধানীর রামপুরার টিভি রোডে। আখিমণির সঙ্গে এসেছে তাঁর স্বামী মিনহাজ বিন নাসিরের মরদেহ। দুই পরিবার মিলে লাশ গ্রহণ করে। মিনহাজের পরিবার থাকে মহাখালীর ডিওএইচএসে। জানাজা শেষে উভয়ের লাশই ঢাকায় দাফন করা হয়।
আখিমণির বাবা শফিকুল ইসলাম পেশকার। তাঁদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে। তবে দীর্ঘদিন তাঁরা ঢাকায়ই থাকেন। আঁখিমণির স্বামী মিনহাজ আমেরিকাপ্রবাসী। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। তাঁর বাবা সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
আখিমণির বাবা শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে তাকিদ বিবিএ পড়ছেন। তিনি বলেন, ‘স্বামীর বাসা থেকেই বেড়াতে যাচ্ছিল। আমাদের ফোনে বলেছিল—ঘুরে আসছি। কে জানত এভাবে আসবে ওরা!’
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ১০ পি.এম ২০মার্চ,২০১৮মঙ্গলবার
এ.এস
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur