বেসরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাদারীপুরের শিক্ষক হত্যা চেষ্টায় যে তরুণ ধরা পড়েছে, সে বেসরকারি কলেজের একজন মেধাবী ছাত্র। তাকে ব্রেইন ওয়াশ করে জঙ্গি বনোনো হয়েছে। তাই আমি বলতে চাই, এখন শুধু মাদরাসা ছাত্র নয়, বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম ও বেসরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গুপ্তহত্যা করছে।’ এদিকে সবাইকে ‘দৃষ্টি দেয়া’র তাগিদ দেন তিনি।
শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ১৪ দল আয়োজিত এক যৌথ সভায় একথা বলেন তিনি।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আর রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার সময় নেই, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন সময় প্রতিরোধ গড়ে তোলার। ১৯ তারিখের মানববন্ধন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এটা সামাজিক আন্দোলন। এর মাধ্যমে জণগনকে আমরা সচেতন করতে চাই। জনগণের মাঝে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেন প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘গুপ্ত হত্যাকারীরা আমাদের চারপাশে আছে। আমাদের ডানে-বামে চার পাশে গুপ্তহত্যাকারীরা অবস্থান করছে। তাদের এখন চেনা যায় না। তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
জঙ্গীবাদের অর্থ যোগানদাতা ও মদদ দাতাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে জানিয়ে কামরুল বলেন, ‘দেশের এই গুপ্তহত্যা ও জঙ্গিবাদের মুল হোতা বিএনপি-জামায়াত। যারাই জঙ্গি হিসেবে এই পর্যন্ত ধরা পড়ছে সবাই কোনো না কোন সময় শিবির বা ছাত্র দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে প্রমাণ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পরিষ্কার রিপোর্ট আছে, কারা এর অর্থ যোগান দিচ্ছেন আর কারা এর পরামর্শ দাতা। অপেক্ষা করেন অচিরেই তাদের পরিচয় প্রকাশ পাবে।’
১৯ জুন জঙ্গিবাদ ও গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে ১৪ দলের মানববন্ধন সফল করার লক্ষ্যে এ যৌথ সভা হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।(বাংলামেইল)
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট ৪:৪১ পিএম,১৮ জুন ২০১৬,শনিবার
এইউ
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur