চাঁদপুর

আমরা চাঁদপুরে কারেন্ট জাল দেখতে চাই না : চাঁদপুর জেলা প্রশাসক

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেছেন, ‘মেঘনা নদীতে ড্রাইভ, পর্যটন, অবাধ অঞ্চল নিয়ে আমরা কাজ করব। আমরা চাঁদপুরে কারেন্ট জাল দেখতে চাই না।’

রোববার (২০ মে) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে বিগত মাসের কার্যক্রম পালন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শিক্ষা ও আইসিটি মোঃ মঈনুল হাসান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাঁদপুর থেকে বিভিন্ন নৌ রুটে যেন লঞ্চ নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা যেন নিরাপদে চলতে পারে। প্রতি মাসের ৮ তারিখের মধ্যে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যপত্র জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। ওয়েবপোর্টাল তৈরি করতে হবে এবং ইংরেজি ভাষায় ভাষণ লিখে স্ব স্ব বিভাগ ওয়েবপোর্টাল থেকে জেলা প্রশাসক পোর্টালে পাঠাতে হবে। আগে বিভিন্ন ট্রেনিং এ নামমাত্র সম্মানি দেওয়া হত। বর্তমানে সরকার তা অনেক বেশি দিচ্ছে। তাই কেউ কোন কাজ জানিনা বলতে পারবেন না। অনেক সরকারি দপ্তরে এখনো ওয়েবপোর্টাল চালু করা হয়নি। তারা দ্রæত এটি চালু করবেন।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ৫১ হাজার জেলের মধ্যে এ বছর যারা জাটকা মৌসুমে জেল খেটেছে তাদের তালিকা দিতে হবে। আমরা এদেরকে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে আর পুনর্বাসিত করব না। তালিকা থেকে এদের নাম বাদ দিয়ে নতুন নামের তালিকা তৈরি করা হবে। নদীতে কোন অবৈধ ড্রেজার থাকতে পারবে না। সন্ধ্যার পর নদীতে কোন বলহেড চলাচল করতে পারবে না। সরকারি যাকাত সংগ্রহ করে জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জমা দিতে হবে। চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঝড়ের সময় যাত্রী নিয়ে যেন লঞ্চ চলাচল না করে। ঈদ ঘনিয়ে আসলে লঞ্চে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম বেড়ে যায়। তাদের প্রতিহত করতে হবে। শহরের বাস স্টেশন, কালী বাড়ি মোড় যানজট মুক্ত করলে শহর যানজট মুক্ত হবে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন, আইন শৃঙ্খলা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় এমনকি যে কোন দূর্ঘটনার খবর জানতে পারলে তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসককে জানাতে হবে। মতলব উত্তর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দ্রæত নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। হাইমচর উপজেলার ঈশানবালার একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম। তাই এটি দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. এম. এনায়েত উল্লাহ, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ মারুফ, পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ সফিকুল ইসলাম মন্টু, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জি.এম মজিবুর রহমান, এনএসআই এর উপ-পরিচালক এ.বি.এম ফারুক, জেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ, জেলা তথ্য কর্মকর্তা নুরুল হক, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কর্মকর্তা তাজ বিল্লাহ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক

Share