চাঁদপুর জেলার মেঘনা-ধনাঘোদা সেচ প্রকল্পে এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ব্যস্তসময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
ধানের বাম্পার ফলনে তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। এ বছর সরকারের কৃষি বিভাগের সঠিক দিক নির্দেশনায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম হওয়ায় এবং পোকা দমনে পাচ্চিং ও হরম পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা এবার ভালো সুফল পেয়েছেন।এ সবের কারণে এবার আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে এমন ধারণা করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে ৮ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনা -৭,২২,২৩,৪৬ ও বি আর ৪৯, ৫১ ও ৫২ জাতের ধান রয়েছে। এবার এই প্রকল্পে ৪৫ হাজার ১শ’ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পোকা দমনে এখানে এখন পাচিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ এতে করে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না, তাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত সর্বাধিক সহযোগিতা দিয়ে কাজ করেছেন বলে জানান কৃষি বিভাগ। পাচিং পদ্ধতির ফলে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমে এসেছে, আর এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানের রোগ বালাই কম হয়েছে তাই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
এবার ফলন ভালো হওয়াতে কৃষক খুশি, আবার ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা মণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে পারছেন। যা গতবছরের তুলনায় ১শ’/১ শ’৫০ টাকা বেশি। কৃষকরা এ ধান চাঁদপুর, কুমিল্লা দাউদকান্দি, ভৈরবের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন।
ব্রাহ্মণচক গ্রামের কৃষক সুলতান আহমেদ জানান, এবার বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছি।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম মজুমদার জানান, এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হবে। কৃষকরা আমাদের পরামর্শে পাচিং পদ্ধতি গ্রহণ করায় ব্যয়ও কমে এসেছে।
করেসপন্ডেন্ট ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৫ : ২০ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ রোববার
এজি/এইউ