Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলব উত্তরে আমনের ফলন ভালো না হওয়ার শঙ্কা
আমনের

মতলব উত্তরে আমনের ফলন ভালো না হওয়ার শঙ্কা

মতলব উত্তরে চলতি মৌসুমে আমনের ফলন নিয়ে কৃষকেরা শঙ্কায় রয়েছেন। ধান রোপণের শুরুতেই দুই দফা অতিবৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে তাঁদের চারা নষ্ট হয়। ফলে অনেক চাষিকে ধানের চারা একাধিকবার রোপণ করতে হয়েছে।

এ ছাড়া মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে পানি নিষ্কাশন করতে না পারায় এবার আমনের ভালো ফলন না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চাষিরা। সাম্প্রতিক প্রতিকূল আবহাওয়ায় এবং শ্রমিক সংকটে কিছু কিছু এলাকায় ধান কাটতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে জমিতে পাকা ধান ঝরে পড়ায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আবার ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কাও রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কেউ কেউ কাটা ধান আঁটি বেঁধে মাথায় করে, কেউবা পরিবহনে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। গত ১ সপ্তাহে উপজেলায় ১০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। এ ছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সহায়তায় উপজেলায় ৪টি কম্বাইন্ড হারভেস্টর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গজরা ইউনিয়নের আমুয়াকান্দি গ্রামের কৃষক আক্তার হোসেন বলেন, নিয়মিত পরিচর্যা ও সময়মতো সার প্রয়োগে তাঁর ফলন ভালো হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় জমি থেকে ধান কাটতে সময় বেশি লাগছে। ব্যয়ও বেড়েছে। যাঁরা হারভেস্টর মেশিন দিয়ে ধান কাটতে পারছেন, তাঁরা কম সময় ও খরচে ফলন ঘরে তুলতে পারছেন।

একই এলাকার কৃষক জাকির হোসেন বলেন, গত মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে আমনের ফলন ভালো হয়নি। ধানের ভালো দাম পেলে, লাভবান হব।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহনাজ পারভীন বলেন, সরকার যদি উন্নয়ন সহায়তা বৃদ্ধি ও ভর্তুকি মূল্যে আরও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিলে কৃষকের খরচ কমে যাবে। এতে কৃষকেরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, চলতি আমন মৌসুমে সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে উপজেলায় কৃষকদের ৪টি কম্বাইন্ড হারভেস্টর বরাদ্দ দিয়েছে। এতে অল্প খরচে ধান কাটা, মাড়াই ও মাঠ থেকে ধান আনা সহজ হবে। পর্যায়ক্রমে কৃষকেরা যান্ত্রিক নির্ভরশীল হলে শ্রমিক সংকট কেটে যাবে ও ফসল উৎপাদন বাড়বে।

স্টাফ করেসপন্ডেট