চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা, পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ব্যাপক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। নদীর তীর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বোনা আমনের চাষাবাদ ও উৎপন্ন হয়ে থাকে। চাঁদপুরে ইরি-বোরো ও আউশের পরই বোনা আমনের স্থান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে,চাঁদপুরে (২০২১-২০২২)অর্থবছর ৬৮ হাজার ২শ’৭৪ মে.টন আমন চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৭ হাজার ১শ’৫ হেক্টর। বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক বোনা আমনের চাষাবাদ ও উৎপাদন করে থাকে চাষীরা। অথচ নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষীদের কৃষিঋণ পাচ্ছে না ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর সদরে স্থানীয় জাতের বোনা আমনের চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৪ শ’৭০ হেক্টর, মতলব উত্তরে ৭ হাজার ১ শ’৫০ হেক্টর, মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ৪৫ হেক্টর, হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৫ হেক্টর, শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ২ হাজার ৫০ হেক্টর,হাইমচরে চাষাবাদ ২ হাজার ৪ শ’হেক্টর, কচুয়ায় ৫ হাজার ৫শ ৮৫ হেক্টর এবং ফরিদগঞ্জে ৭ হাজার ৪শ হেক্টর ।
চাষীরা সাধারণত আলু, সরিষা, ভূট্টা, মরিচ ও অন্যান্য রবি ফসল ঘরে তুলে ঐ জমিতেই বোনা আমনের চাষাবাদ করে থাকে ।
আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ,পরিবহনে সুবিধা,কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষিউপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষীরা বোনা আমন চাষাবাদ করছে।
চাঁদপুরের মেঘনা ধনাগোদা ও চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভেতর এর চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের একজন কৃষিবিদ ৮ আগস্ট রোববার জানান।
আবদুল গনি,৮ আগস্ট ২০২১
এজি