চাঁদপুর মাছ ঘাটে ইলিশের আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ক’ দিন ধরে প্রতিদিন শত শত মণ ইলিশ এ ঘাটে আসছে। অবশ্য এসব ইলিশের অধিকাংশই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর নয়।
চাঁদপুরের বাইরে ইলিশের মূল্য তূলনামূলক কম থাকায় চড়া দাম পেতে সাগর থেকে মাছগুলো চাঁদপুর ঘাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসছে জেলেরা। সেগুলোকে চাঁদপুরের রূপালি ইলিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছেন আড়তদার ও পাইকারী বিক্রেতারা।
একাধিক জাতীয় দৈনিকের পাওয়া খবরে জানা যায়, ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলে ইলিশের মূল্য চাঁদপুরের চেয়ে বেশি। এর কারণ হিসিবে চাঁদপুরের মৎস্য ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট চক্রকে দায়ী করছেন স্থানীয় ক্রেতারা।
এ সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকায় এখানকার ইলিশের দাম কমছে না বলে জানান ক্রেতারা। ক্রেতাদের দাবি মাছঘাটে প্রশাসনের মনিটরিং ও মূল্য নির্ধারণ থাকলে কিছুটা সাশ্রয়ী পাওয়া যেতো ইলিশ।
চাঁদপুর মাছঘাটে নদীপথ ও সড়ক পথে আসছে অনেক ইলিশ। বড় বড় চালান আসায় সরগরম থাকে চাঁদপুর মাছঘাট। ইলিশকে ঘিরে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এখানে বেচা-কেনা বেশি হওয়ায় লেনদেন বেড়ে গেছে বিকাশ ও ব্যাংকগুলোতে। ফলে বেশ কয়েকদিন যাবত চাঁদপুরের ব্যবসা বাণিজ্যে কিছুটা চাঙ্গাভাব বেচা কিনা দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে স্থানীয় নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়ায় হতাশ জেলেরা। ইলিশের ব্যাপক আমদানি, ব্যবসায়ী ও জেলেদের মুখে হাসি, প্রচারণা সব থাকলেও ইলিশের দাম একটু বেশি।
চাঁদপুরের জেলেদের মাধ্যমে ধরা পড়া বড় সাইজের ইলিশ ঘাটে আসলেও অবাক করা মূল্যের কারণে ক্রেতারা দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছেন।
তবে পদ্মা মেঘনায় মাছ কম পাওয়া গেলেও সাগরের ইলিশ পেয়েই আড়তদাররা খুশি। ইলিশের দামও কেজি প্রতি কমেছে অন্তত ৩-৫শ’ টাকা।
বর্তমানে ১ কেজি সাইজের প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার থেকে ১২ শ’ টাকা। আধা কেজি সাইজের প্রতি কেজি ইলিশ ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে চাঁদপুর ঘাটে আসা অধিকাংশ ইলিশ সড়ক ও নদী পথে পাচার হওয়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখান থেকে ইলিশ কুমিল্লা, ফেনি, ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, সাভার, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন অর্ধ-শতাধিক ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান বোঝাই করে চালানের নামে পাচার হচ্ছে ইলিশ।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: : আপডেট, বাংলাদেশ ০৬: ০৩ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শনিববার
ডিএইচ