ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ১১তম ম্যাচে এসে নিজেদের কাজটা ভালোভাবে সম্পন্ন করে রাখল মাশরাফি বিন মর্তুজার কলাবাগান ক্রীড়া চক্র (কেসি)। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডাক ওয়ার্থ লুইস মেথডে তারা ২৯ রানে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমীকে।
এই জয়ের ফলে ১১ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে ওঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো মাশরাফির কলাবাগান কেসি। তবে রাজ্জাক-মাশরাফির দল সুপার সিক্সে উঠতে পারবে কি না, তা জানতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৮ জুন প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের শেষ দিন পর্যন্ত।
এছাড়া সুপার সিক্সে ওঠার লড়াইয়ে রয়েছে আরো ৩টি দল। যাদের এখনও একটি করে ম্যাচ বাকি আছে। এই তালিকায় রয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে ওঠার দৌড়ে আছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তাই প্রাইম দোলেশ্বর, লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া ও আবাহনী এই চারটি দল আগেই সুপার লিগে ওঠার নিশ্চিত করেছে। তাই আগামীকাল বুধবারের ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে সুপার সিক্সে ওঠার জন্য বাকী দুটি দলের ভাগ্য।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় মাশরাফির কলাবাগান ক্রীড়া চক্র আর মাহমুদুল হাসান লিমনের কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি।
সুপার লিগে খেলতে হলে এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্পই ছিলো না মাশরাফিদের। তাই সকালে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মাশরাফির বোলিং তোপে পড়ে কলাবাগান একাডেমী।
তাতে করে আগের দিনের বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত ১৪.২ ওভার খেলা হয় তার মধ্যে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমীর দুই ওপেনার এবং অধিনায়ক সাজঘরে ফিরে যান মাত্র ৩৫ রানেই।
সোমবার টানা বৃষ্টির কারণে ওইদিনের খেলাটি রিজার্ভ ডেতে নিয়ে যেতে বাধ্য হন ম্যাচের দুই আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারি। আগেরদিনের ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান মঙ্গলবারের খেলা শুরু করে কলাবাগান একাডেমী।
কিন্তু কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের আব্দুর রাজ্জাক ও শাহবাজ চৌহানের মারাত্মক বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কলাবাগান একাডেমী। তবে দলটির লোয়ার অর্ডার ব্যাটসমান নুরুজ্জামানের ৪২ রানের উপর ভর করে ৩৯.২ ওভারে মাত্র ১২৮ রানেই অলআউট হয়ে যা কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমী।
এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান ও নূর হোসেন ১৭ রান করেন। আব্দুর রাজ্জাক ২৮ রানে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া শাহবাজ ও মাশরাফি পান ২টি করে উইকেট।
১২৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামে কলাবাগান কেসি। সতর্কতার সঙ্গে খেলা শুরু করলেও ব্যক্তিগত শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন জসিমউদ্দিন। পরে তাসামুল হককে নিয়ে জুটি গড়েন হাসানুজ্জামান। কিন্তু তাসামুল ১৭ রানে আউট হয়ে যান। পরে হাসানুজ্জামানও হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র তিন রান দূরে থাকতে আউট হয়ে যান।
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ২৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান তোলার পর শুরু হয় বৃষ্টি। দুপুর দেড়টার দিকে খেলা বন্ধ হলেও ম্যাচ রেফারি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দিনের খেলাটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
ফলে ডাক ওয়ার্থ লুইস মেথডে ২৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাশরাফিরা। কলাবাগান একাডেমির আবু যায়েদ রাহি ২টি এবং নুর হোসেন ১টি উইকেট পান। ম্যাচসেরা হয়েছেন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বাঁহাতি অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৬:২৪ পিএম, ০৭ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার
এইউ