জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে শনিবার (২৫ নভেম্বর) আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ডঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় ডঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এই ভাষণ যুগ যুগ ধরে বাঙ্গালী জাতিকে সমানভাবে উজ্জীবিত করে যাবে। তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে এই ভাষণ ব্যাপকভাবে তুলে ধরার আহবান জানান। তিনি এসময় সাতই মার্চের ভাষণ কিভাবে বিশ্ব ঐতিহ্যের Memory of the World International Register এ অন্তর্ভুক্ত হল তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ডঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই আজ পদ্মা সেতুর মত বিশাল বাজেটের কাজ আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে করা সম্ভব হচ্ছে। তিনি প্রবাসীদের যার যার জায়গা থেকে দেশের জন্য কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা সাতই মার্চের ভাষণকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলে উল্লেখ করেন। এ ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃত লাভ করায় তা জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় বলে জানান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ আরবি ভাষায় অনুবাদ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রচারের উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান প্রবাসীরা।
আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া দূতাবাস প্রাঙ্গনে প্রবাসী বাংলাদেশী ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারবর্গের জন্য মোনাজাত ও দোয়া করা হয়।
সাগর চৌধুরী
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৫৯ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ