মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন সম্পর্কে যা বললেন চাঁদপুরের সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধানশিক্ষক মো.আব্বাস উদ্দিন বলেন ,‘ দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ % উৎসব ভাতা এবং ৫শ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একাডেমিক সময়সূচি, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য। এ ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারীপ্রধান শিক্ষকদের মধ্যেও বেতন নিয়ে রয়েছে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ। মাধ্যমিক শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করণসহ ঐ সব দাবিও রযেছে আমাদের। আজ পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রয়েছে।’
আজ ১৮ জুলাই তিনি দুপুরে চলমান মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের আন্দোলন সম্পর্কে এ কথা বলেন ।
তিনি আরোও বলেন,‘ জেলার উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমুহের শিক্ষকগণ এখন ঢাকার অভিমুখে রয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ১১ জুলাই থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাসের আগেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবেন মাধ্যমিক শিক্ষকগণ ।
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ % কর্তন করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক।
আবদুল গনি ,
১৮ জুলাই ২০২৩