মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সব নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২তম দিনের মতো লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। একদফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন তাঁরা। তবে ১৩ তম দিনে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ কিংবা জাতীয়করণের ঘোষণার কোনো ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে রবিবার থেকে স্কুলে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
শনিবার বিকেলে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ।
এ সময় এ আন্দোলনকে জোরদার করতে একটি জাতীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। এতে বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন রয়েছে। এ সংগ্রাম কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বিটিএর সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া। এছাড়া সংগ্রাম কমিটির সাথে যুক্ত অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমন্বয়কারী হিসেবে থাকবেন।
বিটিএর নেতৃত্বে জাতীয় সংগ্রাম কমিটির সাথে রয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন (বাশার, জসিম), বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম (সাইদুল ইসলাম), এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম (বাশিফ),বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (প্রিন্স), জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে ১১ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। আজ চলছে আন্দোলনের ১৩ তম দিন। এদিনেও কোনো সমাধান পায়নি আন্দোলনকারীরা। শিক্ষকরা বলছেন— দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
২৩ জুলাই ২০২৩
এজি