চাঁদপুর পৌরসভার টোল আদায় বন্ধের দাবির অন্তরালে চাঁদপুরে সড়ক অবরোধ করে চাঁদপুরকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা দুই শ্রমিক ইউনিয়ন নেতার। তারা দুজন হলেন, জেলা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি কাজী ওমর ফারুক এবং জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রিপন হোসেন। যারা পূর্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষে তারা যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। বাস্তবে দেখা গেলো তার ভিন্ন রূপ।
জানা যায়,২০ এপ্রিল রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তারা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে প্রায় দুই আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে চরম দুর্ভোগে ও বিপাকে পড়েন বিভিন্ন মুমূর্ষ রোগী পথচারী চালক ও যাত্রী সাধারণরা।
সরজমিনের দেখা গেছে, চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে বেলা ১২ টার দিকে মিশন রোড হতে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর সড়কের ওয়ারলেস শেষ প্রান্তে পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। এ সময় বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে থাকা কয়েকজন রোগী ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রার্থীরা যানবাহনে বসে থেকে দীর্ঘ অপেক্ষায় চরম বিপাকে পড়তে হয়। সড়ক গুলোতে ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন আটকে থাকার কারনে একজন পথচারীও ঠিকমতো হেটে যাওয়ার জায়গা ছিলোনা। এমন পরিস্থিতি দেখে তাদের এমন আন্দোলন নিয়ে জনমনে নানান পতিক্রীয়া দেখা দেয়।
অনেকেই সিএনজি স্কুটার মালিক সমিতির সভাপতি কাজী ওমর ফারুক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রিপন হোসেনের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকা বিভিন্ন ছবি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন।
এদিকে কয়েকটি সূত্র থেকে জানা যায়, কাজী ওমর ফারুক এবং মোঃ রিপন হোসেন সহ সমিতির বেশ কয়েকজন চাঁদপুর শ্রমিক ইউনিয়ন লীগের নেতা। আওয়ামী লীগের শাসনামলে তারা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির কোরামের সাথে জড়িত ছিলেন। আর সে সময়ের তাদের দুজনের বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির আইডিতে পোস্ট করা হয়েছে। এসব বিষয় গুলো সামনে আসার পর থেকে অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন, ‘চাঁদপুরকে রাজনৈতিক ভাবে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই কিন্তু তারা ষড়যন্ত্র করে এমন আন্দোলনে নেমেছেন।’
এছাড়াও আরো কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, কাজী ওমর ফারুক ও রিপন হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির বোল পাল্টে তারা চাঁদপুর শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দকে হাত করে এমন আন্দোলনে নেমেছেন।
আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগের যেসব দোসররা চাঁদপুরকে অস্থিতিশীল করার জন্য এমন কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছেন। প্রকৃতভাবে যাচাই-বাছাই বা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে চাঁদপুরকে শান্ত রাখার দাবি সচেতন মহলের।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ২০ এপ্রিল ২০২৫