মতলব উত্তর

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে মতলব উত্তরে র‌্যালি ও আলোচনা

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বণ্যাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রথম প্রহরে ইউএনও মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বণ্যাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে উপজেলা বটছায় মিলনায়তনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন মজুমদারে সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.কাজী মোঃ আবু ইউসুফ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ কবির হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক, উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিসার মোঃ ফারুক আহম্মেদ,ছেংগারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ কামাল হোসেন খান, ছেংগারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বেনজির আহম্মেদ, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) মোঃ মোজাম্মেল হক, একটি বাড়ি একটি খামারের সমন্বয়কারী মোঃ আফজালুর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন,‘দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে এ দেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ কর্তৃক ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। দুর্যোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে আগাম বার্তা ও সম্মিলিত উদ্যোগে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব।’ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, স্থানীয় জনগণসহ সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে সমন্বিতভাবে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসসহ দুর্যোগ প্রশমনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

‘বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত। ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে দুর্যোগের কারণ এবং বাঁচার উপায় বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সাম্প্র্রাতিক সময়ে বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে ইউএনও মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন বলেন, ‘ইদানিং বজ্রপাত খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। এক সময়, বাংলাদেশের প্রতিটি রাস্তায়, বাড়ির কোণায় কিংবা মসজিদের পাশে সব জায়গায় তালগাছ দেখা যেতো। ইদানিং তালগাছ নাই। তালগাছ কেউ লাগায় না।’

আগে প্রত্যেক বাড়ির সঙ্গে তালগাছ থাকতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। আশুন আমরা বাড়ি,কিংবা বাড়ির আশে পাশে তাল গাছ লাগাই।

ভবনে বজ্র নিরোধক ধাতব দ- লাগানোর নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুল, কলেজ ও সাইক্লোন সেন্টারের যেখানেই ভবন নির্মাণ করা হবে, সেখানেই আর্থিং ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাহলে বজ্রপাত হলে, তা ধাতব দ- বা আর্থিং ব্যবস্থ্যার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ মাটিতে চলে যাবে। এই আর্থিং ব্যবস্থাও আজকাল মনোযোগ দিয়ে করা হয় না।’ ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে উপকূলীয় এলাকাসহ গোটা দেশকে সবুজ বেষ্টনিতে সাজাতে হবে।

খান মোহাম্মদ কামাল : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২:০০ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

Share