জাতীয়

আজ আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস

আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস শুক্রবার ৯ ডিসেম্বর । গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস হিসাবে ঘোষণা করায় দ্বিতীয়বারের মতো এ দিবসটি বিশ্বব্যাপি পালিত হবে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কাল এ দিবসটি পালিত হবে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ও বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ৯ তারিখে এ দিবসটি পড়ায় বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্যে দিবসটি পালন করবে।

বিশ্বমানবের সাথে একাত্ম হয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর শুক্রবার এ দিবসটি উপলক্ষে মিরপুরের জল্লাদ খানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠে আলোচনা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, গণহত্যা বিষয়ক রচনা থেকে পাঠ, সঙ্গীত ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন ও আক্কু চৌধুরী। পাঠে অংশ নেবের আবৃত্তিকার মাকসুদ-এ-সাত্তার কল্লোল ও তামান্না সারোয়ার নিপা।

সঙ্গীত পরিবেশন করবে বধ্যভূমি সন্তান দল ও মিরপুর সাংস্কৃতিক একাডেমি। সবশেষে প্রদর্শিত হবে জল্লাদখানা বধ্যভূমি নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘ফ্রোজেন টিয়ার্স’।

বৈঠকে আলোচক থাকবেন আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি ও গবেষক মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জুলফিকার আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল হালিম প্রামানিক প্রমুখ।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বৈঠক শেষে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আলোচনা, আলোক প্রজ্জ্বলন ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।

জেনোসাইড ’৭১ ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক এ দিবসটির দ্বিতীয় বার্ষিকী পালন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় নিউইর্য়কের জ্যাকসন হাইস্টেস আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণহত্যায় নিহতদের স্বরণ ও মর্যাদা দান, গণহত্যা প্রতিরোধে বিশ্বজনমত গঠনের প্রত্যয়ে ‘সেমিনার ও আলোচনা’, ভক্তি সঙ্গীত ও কবিতা আবৃত্তি করা হবে।

আলোচনায় একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ১শ’ ৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা কর্মকর্তার বিচার, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা ৩৭ হাজার কোটি টাকা আদায়, সম্পদের শেয়ার, এব গণহত্যা, নারী নির্যাতন ও নারীর সম্ভ্রমহানির ফলে জন্ম নেয়া যুদ্ধশিশুর দায়ভারসহ অন্যান্য ক্ষতিপুরণ আদায়ের জোর দাবি দিবসটি পালন অনুষ্ঠানে তোলা হবে।(বাসস)

নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১০:৩৯ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
এজি/এইউ

Share