আগামী ১৬ আগস্ট রোববার থেকে বিভিন্ন রুটে ১৩টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ৯ আগস্ট রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৬ আগস্ট থেকে একতা, সুন্দরবন, পদ্মা, পারাবত, হাওর, অগ্নিবীণা, তিতুমীর, মহানগর, বিজয়, উপকূল, সীমান্ত, টুঙ্গিপাড়া ও জামালপুর কমিউটার ট্রেন যথারীতি সংশ্লিষ্ট রুটে চলবে।
যেসব রুট্রে চলবে এসব ট্রেনগুলো: পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলানা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস,
ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী -চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিং-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস।
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো একসাথে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। বিক্রিত টিকিট রিফান্ড করা যাবেনা বা ফেরত নেওয়া হবে না। যাত্রার দিন সহ পাঁচ দিন পূর্বে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে।
যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণ ক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেন সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট সুসম্পন্ন বন্ধ থাকবে।
করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শেষে সরকারি নির্দেশে গত ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে স্বাস্থবিধি মেনে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এখন মোট ১৭ জোড়া ট্রেন চলছে, একই সাথে মালবাহী ট্রেনও চলাচল করছে।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল।