করোনার সার্বিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই মেয়াদপূর্ন হওয়া পৌরসভাগুলোর নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা কাজ শুরু করেছে।
গণমাধ্যমগুলোতে এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের পর থেকে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের পদচারণা। এতোদিন বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন দিবসে মেয়র প্রার্থীরা কুশল বিনিময় শুরু করলেও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর সদর্পে মাঠে নেমেছে প্রার্থীরা।
আব্দুল গাফ্ফার সজিব। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালী গ্রামের বাসিন্দা।পিতা মৃত- ইকবাল হোসেন আ’লীগের একজন নিবেদিত প্রান,দল এবং সাধারন মানুষের কল্যানে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। যোগ্য পিতার উত্তরসূরি ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে পদচারণা রয়েছে। পারিবারিক ঐতিহ্যকে ধরে রেখে তিনিও জ্ঞান হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে চলছেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নিজের সর্বোচ্চ শ্রম-ঘাম এবং পরিবারের অর্থ ব্যয় করে প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে এবং পারিবারিক ঐতিহ্যকে পূঁজি করে ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র প্রার্থী আব্দুল গাফ্ফার সজিব বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে কাজ করে চলেছেন। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় দেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে। এই উন্নয়নযাত্রায় ফরিদগঞ্জ পৌরবাসীকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করে এগিয়ে নিতে হবে। সব দিক থেকেই বঞ্চিত ফরিদগঞ্জ পৌরবাসীকে উন্নয়নযাত্রার সুফল পৌঁছে দিতে এবং সর্বোচ্চ নাগরিকসেবা ও আধুনিক পৌরসভা উপহার দিতে এ যাত্রায় আমি সামিল হতে চাই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন,মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন করাই আমার লক্ষ্য। রাজনীতি আমার পেশা নয়, নেশা। তাই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে চাই। জনগণ আমাকে তাদের পাশে থাকার স্থান দিলে, সারাজীবন মানুষের পাশে থেকে গণমানুষের কাজ করবো। ফরিদগঞ্জ পৌরসভাকে আমি একটি ডিজিটাল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,১৩ অক্টোবর ২০২০