কুমিল্লার হোমনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নুরুন নবী (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।
১২ আগস্ট বুধবার সকালে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর (মিঠাইভাঙা) গ্রামে সামাদ মেম্বার ও জুনাব আলী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুন নবী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুলালপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সামাদ মেম্বার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য জুনা আলী গ্রুপের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই জুনা আলী গ্রামে ঢুকতে পারছিলেন না।
বুধবার সকালে জুনাব আলী তার দলবল নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নুরুন নবী মারা যান।
এছাড়া সামাদ মেম্বার (৬৯), তার ভাই আব্দুল করিম (৬৫) ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে (২২) টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুলালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন সওদাগর বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় গত দশ বছরে এলাকার লোকজন এবং প্রশাসনের লোকজন নিয়ে উভয়ের বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি। কেউ কাউকে ছাড় না দেয়ায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তিনি বলেন, এর আগেও নাসির নামে একজন মারা যান, আজ আরেক জনের জীবন গেল।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, স্থানীয়ভাবে জেনেছি দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছে।
এর আগেও বিভিন্ন সংঘর্ষে এ পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। মামলার কারনে জুনাব আলী পালিয়ে ছিলেন। আজ সকালে এলাকায় আসলে উভয়ের সংঘর্ষে নুরুন নবী মারা যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ১২ আগস্ট ২০২০