আদালতের নিষেধাজ্ঞাও মানছে না হাকিম মিজির পরিবার

আদালতের নিষেধাজ্ঞাও মানছে না হাকিম মিজির পরিবার, চাঁদপুরে নালিশী ভূমিতে নির্মাণ কাজ : আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা। আবদুল হাকিম মিজি সংবাদ কর্মীদের কাছে দাবি করেন ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা এমন অনেক হয়, থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করেই আমরা কাজ করছি।’

চাঁদপুর শহরের অভ্যন্তরে কুমিল্লা রোডের ডায়াবেটিক হাসপাতালে বিপরীত পাশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি নালিশী ভূমিতে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এ নিয়ে ওই এলাকায় যে কোনো সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

ঘটনাস্থল ঘুরে ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর ডায়োবেটিক হাসপাতালের বিপরীতে চাঁদপুর সদর উপজেলার সাবেক ৮৯ নং বিষ্ণুদী মৌজা, সিএস ৫৪, এসএ ৩৩, বিএস ৮৫১ ও ৫১২ খতিয়ানভুক্ত দাগ সি,এস এস,এ ৭১০ নালিশী ভুমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ অব্যহত রাখছে মৃত ইয়াকুব আলী মিজির ছেলে আবদুল হাকিম মিজি তার স্ত্রী রওশন আরা বেগম, ছেলে আ. হান্নান মিজি, মোস্তফা মিজি ও মেয়ে ফাতেমা।

উক্ত নালীশি ভুমিতে দখলদার ও প্রতিপক্ষরা যে কোন সময় দখল প্রক্রিয়া চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় ভূমির মালিক গত ১৮ মে তারিখে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ (দরখাস্ত নং ৪৭৩/১৮/৫/১৬ইং) দাখিল করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত চাঁদপুর মডেল থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

আদালতের আদেশে মডেল থানার এএসআই মো. জালাল উদ্দিন গত ২৫ মে উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব কাগজপত্র নিয়ে মডেল থানায় হাজির হতে নির্দেশ দেন এবং উক্ত নালিশে ভুমিতে আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত নিজ নিজ দখলের বাহিরে জোরপূর্বক অনাধীকার প্রবেশ ও শান্তিভঙ্গ থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ প্রদান করেন।

অভিযুক্ত দখলদার আবদুল হাকিম মিজিরা আদালতের আদেশ অমান্য করে নালিশী ভুমিতে জোরপূর্বক ব্যপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ফলে ওই এলাকায় উভয়ের পক্ষে-বিপক্ষ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এমন পরিস্থিতে ভুক্তভোগী ভূমির মালিক ইব্রাহীম জুয়েল ন্যায় বিচারের স্বার্থে মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে বারবার সহযোগিতা চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

নালিশী ভূমিতে নির্মাণ কাজ প্রসঙ্গে দখলদার মৃত ইয়াকুব আলী মিজির ছেলে আবদুল হাকিম মিজি সংবাদ কর্মীদের কাছে দাবি করেন ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা এমন অনেক হয়, থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করেই আমরা কাজ করছি।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. জালাল উদ্দিনের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও একই ধরনের আরেকটি অভিযোগে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মৃত আবদুল করিম মিজির স্ত্রী আমিরুন নেছা জানান, ‘আবদুল হাকিম মিজিসহ প্রতিপক্ষরা দখলদার ও হামলাকারী। তারা গত ২৩ জুন জোরপূর্বক দখল করতে গেলে আমরা বাধা দেই। তখন আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

ওই হামলায় আমিরুননেছাসহ পরিবারের অপর সদস্যরা আহত হয়। চাঁদপুর মডেল থানায় এ বিষয়ে মামলা হয়েছে (মামলা নং- ৫১/২০১৬)।

এমন পরিস্থিতিতে ভূমির প্রকৃত মালিকগণের দাবি, আদালতের নিষেধজ্ঞা অমান্য করে নালিশী ভূমিতে নির্মাণ কাজ অব্যহত রাখায় প্রমানিত হয় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ও দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী। তাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা জরুরি।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :  আপডেট, বাংলাদেশ সময়  ২:০০ এএম,  ১৩ জুলাই  ২০১৬, বুধবার

ডিএইচ

 

 

Share