নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার স্থানীয় এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ভাই আদম ব্যবসায়ী শাহ আলম মজুমদার সাধারণ মানুষ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে ২০ বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত শাহ আলম ও তার স্ত্রী রেনু বেগমের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের মৃত নূরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মো. জাকির হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার ১৫ মে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ থেকে ৯৫ সাল পর্যন্ত গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ইটালি নেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় শাহ আলম মজুমদার। এতে অসংখ্য পরিবার নিস্ব হয়ে যায়।
তিনি ওই সময়ে বিদেশ নেয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেয়্। তার এ বিষয়টি প্রকাশ পেলে ভুক্তভোগীরা তাকে হাজীগঞ্জ ও কচুয়ায় একাধিকবার মারধর করে।
শাহ আলমের স্ত্রী রেনু বেগম ও ছোট ভাই খোরশেদ আলম মজুমদার ওই টাকার দায়িত্ব নেয়।
চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে ইয়ার আহমেদ লিকসন জানান, ১৯৯৫ সালে বিদেশ নেয়ার কথা বলে তার বাবার কাছ থেকে শাহ আলম চেকের মাধ্যমে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা নেয় । টাকা নেয়ার দু’ মাস পর তার বিদেশ যাওয়ার ফ্লাইট নিশ্চিত হয়েছে বলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। ঢাকা যাওয়ার পর আরো কয়েকজন সহ তাকে একটি অন্ধকার কক্ষে ৭ দিন বন্দি করে রাখে।
ঠিকমতো খাবার না দিয়ে তার লোকজনকে দিয়ে লিকসনকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করা হয়।
লিকসন জানায়, তাদের এ পরিকল্পনা বুঝতে পেরে আমি বাথরুমের লিংটার ভেঙ্গে গভীর রাতে পালিয়ে আসি। আমার বাবা প্রাইমারী স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক । আমার বাবা ও শাহ আলম ছিলো বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের মুরিদ এবং আমাদের ফুফুর বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাড়ি তার।’
সে সুবাদে তার সাথে আমার বাবার ভালো সম্পর্ক ছিলো। বাবার সরলতার সুযোগ নিয়ে সে আমাদের কাছ থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
তিনি জানান, ওই সময় শাহ আলমের খপ্পরে পরে ফরিদপুরের দু’ ব্যবসায়ী, হাজীগঞ্জে কয়েকজন সহ একাধিক পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে নিঃস্ব করে দেয়। শাহ আলম বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার পর আমাদের টাকার বিষয়ে তার ভাই খোরশেদ আলম, স্ত্রী রেনু বেগম সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতে কয়েকবার বৈঠক হয়। বৈঠকে তারা ক্ষতিপূরণসহ টাকা দিবে বলে স্বীকার কার করে। কিন্তু আদৌ এ টাকা পরিশোধ করে নাই।