সারাদেশ

আত্মহত্যাকারী নারী পুলিশের চিরকুটে যা লেখা ছিলো

গত বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানা নারী কনেস্টেবল সাবিনা ইয়াসমিন থানার মহিলা পুলিশ ব্যারাকের তার কক্ষ হতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আত্মহত্যার পূর্বে সাবিনা স্টাফ কলেজ এর একটি প্যাডে সে লিখে গেছেন, ‘আশুলিয়া থানার ড্রাইভার কনেস্টেবল ৮৮১ জিয়াউর রহমানের জন্যে আমি মৃত্যুবরণ করলাম। জিয়া আমার সব কেড়ে নিয়েছে।’

আত্মহত্যার ঘটনায় ওইদিন রাতেই সাবিনার বড় ভাই নজরুল ইসলাম লিটন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি ৯ক ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৯।

এদিকে এ ঘটনায় বুধবার রাতে ডিইপিজেড পুলিশ ক্যাম্পের ভেতর থেকে অভিযুক্ত কনস্টেবল জিয়াকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। ঘটনার পর তিনি থানা থেকে পালিয়ে যান।

মামলার এজাহারে লিটন বলেন, সাবিনা তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের কে জিয়াউর রহমানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা শীঘ্রই বিয়ে করবে বলে জানিয়েছিল। এছাড়া কয়েকদিন পূর্বে জিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সে আরো জানিয়েছিল, কনেষ্টবল জিয়া ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানাধীন বাকাইল গ্রামের এনামুল হকে ছেলে। জিয়া বিবাহিত তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। সে সাবিনাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েও বিয়ে না করায় মিথ্যা বলে সাবিনার সাথে প্রতারণা করেছে। সে সাবিনাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই সে মন খারাপ করে থাকত। জিয়া প্ররোচনা মূলকভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সাবিনার সাথে প্রতারনা ও উক্ত রূপ আচরণ করায় সে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেছেন।

এদিকে নারী পুলিশ কনেষ্টবল সাবিনা ইয়াসমিন আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান কে প্রধান করে ৩ সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে এ কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করবেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলো- ঢাকা জেলা সহকারি পুলিশ সুপার(সার্কেল) নাজমুল হাসান ফিরোজ ও আশুলিয়া থানা ইন্সপেক্টর(তদন্ত) আকবর আলী খান।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:০০ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ

Share