শাহরাস্তিতে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আটক ২

শাহরাস্তি পৌরসভার নাওড়া গ্রামে সংগঠিত জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে চাঁদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তের স্বার্থে তারা কিছুই বলতে রাজি হননি।

আটককৃতরা হলেন- পৌরসভার নাওড়া গ্রামের আহম্মদ উল্যাহ পাঠানের পুত্র সুজন পাঠান (৩৩) ও ঘুঘুশাল গ্রামের আবুল বাশার পাঠানের পুত্র শাহরিয়ার খোকন (৩৫)।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে পৌরসভার নাওড়া গ্রামে নিজ বাড়ির ছাদ হতে অবসরপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আমিনের (৬৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয় নিহতের স্ত্রী কামরুন নাহারকে (৬১)।

৩ দিন পর শনিবার (৩ জুলাই) বিকেল অনুমান সাড়ে ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিবিড় পর্যবেক্ষনে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্ত্রী কামরুন নাহার (৬১)। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার সন্ধ্যায় গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে স্বামীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার হলেও ঘটনাটি কখন ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত করতে পারে নি। নিহত নুরুল আমিনের মাথায় আঘাত এবং গলায় মোজা প্যাঁচানো ছিল। ক্ষত জায়গায় পচন ধরেছে। অনেকেই ধারণা করছেন ঘটনাটি দু-তিন দিন আগে ঘটেছে। তবে বিষয়টি চুরি-ডাকাতি নাকি নাশকতা তা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ১৯৯৭ সালে উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম থেকে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের নাওড়া গ্রামে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন মৃতঃ আঃ মজিদের পুত্র নিহত নুরুল আমিন। তিনি ৫/৬ বছর আগে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে অবসরে যান। স্ত্রী কামরুন নাহার পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে অবসর জনিত ছুটিতে রয়েছেন। নিহত দম্পতির ১ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।

ঘটনার দিন নিহত দম্পতির পুত্র মোঃ জাকারিয়া বাবু অজ্ঞাতদের আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের বেশ কয়েকটি টীম কাজ করে যাচ্ছে। ঘটনার দিন হতেই থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, সিআইডি ও র‍্যাবের বেশ কয়েকটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তের স্বার্থে তারা কিছুই প্রকাশ করতে রাজি হননি।

শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল মান্নান জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর। মামলার তদন্তের স্বার্থে কিছুই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। শাহরাস্তি থানা পুলিশ রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।

শাহরাস্তি প্রতিনিধি

Share