আজ ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস। বিশ্বের জাতিসমূহের একটি সংগঠন, যার লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন,সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। ইতিহাসের তথ্য মতে, ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৯১৯ সালে ্ দ্বিতীয়টি শুরু হয় ১৯৩৯ সালে এবং শেষ হয় ১৯৪৫ সালে।
১৯৪৫ সালে ৫১টি রাষ্ট্র জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং পরবর্তীতে বিলুপ্ত ‘লীগ অব নেশন ’এর স্থলাভিষিক্ত হয়।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে বিজয়ী মিত্রশক্তি পরবর্তীকালে যাতে যুদ্ধ ও সংঘাত প্রতিরোধ করা যায়- এ উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়। তখনকার বিশ্ব রাজনীতির পরিস্থিতি জাতিসংঘের বা রাষ্ট্রসংঘের সাংগঠনিক কাঠামোতে এখনও প্রতিফলিত হচ্ছে। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও গণচীন হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী দেশ।
২০১৬ সালের অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৫ সদস্য। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে অবস্থিত। সাংগঠনিকভাবে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অঙ্গ সংস্থাগুলো হলো – সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, সচিবালয়, ট্রাস্টিশীপ কাউন্সিল এবং আন্তর্জাতিক আদালত।
এছাড়াও রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ ইত্যাদি। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘের প্রধান নির্বাহী হলেন এর মহাসচিব। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি তারিখ থেকে মহাসচিব পদে রয়েছেন পর্তুগালের নাগরিক রাজনীতিবিদ ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও ম্যানুয়েল দে অলিভেইরা গুতারেস।
১৯৩৯ পর থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে এক বেদনাবিধূর কলঙ্কজনক ইতিহাস। পৃথিবী নামক গ্রহে চলছিল তখন মানব সভ্যতার একটি বিস্ময়কর ধ্বংসযজ্ঞ। অশুভ শক্তির ঝাঁপিয়ে পড়েছিল শান্তিকামী মানুষ ও শান্তিপ্রিয় দেশের ওপর । এ ইতিহাস সবারই কমবেশি জানা ।
সারা পৃথিবীর মানুষের ছিন্নভিন্ন নিয়ে এ খেলায় মেতে ছিল তখনকার বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। পঙ্গুত্ব বরণ করে অগণিত সুস্থ সবল মানুষ, তিল তিল করে হাজার বছরের বিখ্যাত নগরীগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এরই ফলে তৎকালীন বিশ্বনেতৃবৃন্দের এক অনুভূতি থেকে আবার একটি প্লাটফর্মে আসার চিন্তা ভাবনা শুরু হয় ।ঔ অনুভূতি থেকেই জাতিসংঘ সৃষ্টির আতুরঘর তৈরি হয় ।
১৯৪১ সালের ১৪ আগস্ট আটলান্টিক মহাসাগরের যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন ফ্রাংকলিন ডি রুজবেল্ট এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর উইনস্টন চার্চিল গোপন বৈঠক শেষে বিশ্ব শান্তির জন্য একটি পরিকল্পনার ঘোষণা দেন। ইতিহাসে এ পরিকল্পনাকে ‘আটলান্টিক সনদ ’ বলা হয় ।
১৯৪২ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে মিলিত হয় ২৬ টি দেশের কিংবদন্তি নেতৃবৃন্দ।যুদ্ধ বন্ধের শপথ গ্রহণের পর পর রাষ্ট্রপ্রধানগণ মেনে ‘আটলান্টিক সনদ ’। ১৯৪২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা একটি সংগঠন গঠনের ব্যাপারে মস্কোতে মিলিত হন। ইতিহাসের চুক্তিনামা ঘটনাকে বলা হয় মস্কো হিসেবে পরিচিত ।
১৯৪৪ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে গ্রীস্ম ও শরতে একটি সম্মেলনে একটি সংগঠন গড়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এ সম্মেলনকে বলা হয় ‘ডাম্বারটন ওকস’ সম্মেলন ।
১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর রুজভেল্ট ,প্রধানমন্ত্রী চার্চিল এবং সোভিয়েত নেতা যোসেফ স্টালিন মিলিত হন রাশিয়ার ইয়ালটাতে। সানফ্রান্সিকোতে একটি সম্মেলন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ভোট গ্রহণ পদ্ধতি ব্যাপারে সম্মত হন । এ সালের ২৫এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সানফ্রান্সিকো সম্মেলন । ৫০টি দেশ এ সম্মেলনে যোগদান করেন ্। এ সম্মেলনে সম্মতিক্রমে ‘জাতিসংঘ সনদ ’ ও নব্য আন্তর্জাতিক আদালতের আইন-কানুন অনুমোদন লাভ করে ।
১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্য স্থায়ী সদস্যসহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ অনুমোদন করে। এ ২৪ অক্টোবর হলোই জাতিসংঘ নামক সংস্থাটি । তাই ্ঔ থেকেই ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস পালিত হয়ে আসছে ।
জাতিসংঘের মহাসচিব পদে যারা ছিলেন তাঁরা হলেনÑ নরওয়ের ট্রিগভি লাই, সুইডেনের দ্যাগ হামার ,মিয়ানমারের উথান , অস্ট্রেটিয়ার কুড ওযাল্ড হেইম,পেরুর হেভিয়ার পেরেজ দ্যা কুয়েলার , মিশরের বুট্্েরাস ঘালি , ঘানার কফি আনান , দক্ষিণ কোরিয়ার বানকি মুন প্রমুখ। বর্তমানে রয়েছেন ম্যানুয়েল দে অলিভেইরা গুতারেস।
জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১৯৫ টি। এর বার্ষিক বাজেট দাঁড়ায় ১.৩ বিলিয়ন ডলার। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন খাতে ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার।এ উন্নয়নের জন্য ক্ষুধার্থদের জন্যে খাদ্য সংস্থান ,শিশুদের মরণব্যাধি দূরীকরণ, অধিক খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা, জমি সেচ ও পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা । বর্তমানে জরবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব ও কোভিট ১৯ নিয়ে কাজ করছে। ১৯৯৬ সালের শান্তিরক্ষা বাজেটের পরিমাণ পরিমাণ ছিল ১.৬ বিলিয়ন। ১৯৪৬ সালে লন্ডনে গৃহীত প্রস্তাবে প্রথমে নিউয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর করা সিদ্ধান্ত ছিল না। জন ডি রকফেলারের দেয়া ৮.৫ মিলিয়নের অর্থ সাহায্যে বর্তমান স্থানে করা হয় ।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জন্য যে জায়গাটি নির্মাণ করা হয় তা ছির একটি কসাইখানা । নগরীর একটি অবহেলিত স্থান যা একটি রেলওয়ের গ্যারেজ হিসেবে পরিচিত ছিল। নকসাবিদরা তৎকালীন ৮৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি ৪৫ তলা ভবন নির্মাণ করার প্রস্তাব দেন।
প্রথম মহাসচিব ট্রিগভি র নির্দেশনা অনুসারে ২০ মিলিয়ন ডলার কমিানো হয় এবং ৩৯ তলার আকৃতি উল্লেখ করা হয়। নির্মাণ খরচ বাবদ তখন যুক্তরাষ্ট্র ৩৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করে। সর্বশেষ ১৯৮২ সালে তা পরিশোধ করা হয়। ১৯৪৯ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন প্রথম মহাসচিব নরওয়ের ট্রিগভি লাই ।
এর ১৯ মাস পর ১৯৫১ সালের ২১ আগস্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নতুন এ ভবনে কাজ আরম্ভ করেন। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা ৬ টি । আরবি , চায়নিজ , ইংরেজি ,ফরাসি ,রাশিয়ান ও স্পেনিস ভাষা।
জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘ এবং এর সংস্থাগুলো বাংলাদেশে ত্রাণ এনেছিল। জাতিসংঘ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশী শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান করেছিল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৬ তম অধিবেশনের সময় বাংলাদেশের প্রাদেশিক সরকার ১৯৭১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত প্রেরণ করেন।
১৯৭১ সালের অক্টোবরে একজন বাংলাদেশী প্রতিনিধি জাতিসংঘের প্লাজায় বক্তব্য রাখেন এবং ঘোষণা করেন যে “মুক্তিযুদ্ধ পয়েন্ট অব নো রিটার্নে” পেঁৗঁছেছে। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতিসংঘে প্রথম সরকারী প্রতিনিধি ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান করেছিল।
১৯৭১ সালের ১৭ জুলাই জাতিসংঘ পূর্ব পাকিস্তান ত্রাণ কার্যক্রম (ইউএনইপিআরও) প্রতিষ্ঠা করে। শুরুতে জন আর কেলির নেতৃত্বে এ অপারেশন করেছিলেন এবং পরে পল ম্যাকি হেনরি তার স্থলাভিষিক্ত হন।
একাত্তরের ১৬ নভেম্বর অব্যবস্থাপনার কারণে পূর্ব পাকিস্তানের বেসামরিক প্রশাসনের কাছ থেকে এ অভিযানটি জাতিসংঘ পুরোপুরি দখল করে নেয়। এটি পূর্ব পাকিস্তান প্রশাসনের সরকারী কর্মচারীদের নৈতিকতাকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ঢাকায় জাতিসংঘের রিলিফ অপারেশনস তৈরি করে। যেটির পরিচালনায় ছিলেন রবার্ট জ্যাকসন। যা বাংলাদেশে জাতিসংঘের রিলিফ অপারেশনগুলিতে উন্নীত হয়েছিল। অপারেশনটি ১৯ ৭৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হয়েছিল।
জাতিসংঘের সাধারণ সম্পাদক কুড ওয়াল্ডহাইম ১৯৭৩ সালের ৯ জানুয়াারি বাংলাদেশ সফর করেন। জাতিসংঘ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরে চালনা বন্দরের (বর্তমান মংলা বন্দর) পুনর্গঠনের জন্য সহায়তা প্রদান করে। জাতিসংঘ ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানে আটক হওয়া বাঙালিদের বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করতে সহায়তা করেছিল। ১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হতে ব্যর্থ হয়েছিল কারণ চীন পাকিস্তানের পক্ষে ভেটো ব্যবহার করে বাংলাদেশে পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তি রোধ করেছিল। ১৯৭৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।
বাংলাদেশের মহান স্থপতি ,জাতিব জনক বঙ্গবন্ধু ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ অধিবেশনে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় ভাষণ দেন।
১৯৭৫ সালে, বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিল। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত এটি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। ১৯৭৯ সালে, বাংলাদেশ জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়েছিল। সুরক্ষা কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল, ইজরায়েল জনবসতির সমালোচনা করেছিল এবং ইরান থেকে আমেরিকান জিম্মিদের ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
১৯৮০ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ইসকোসকে আরও এক মেয়াদ দায়িত্ব পালন করে। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৩ সাল অবধি বাংলাদেশ গ্রুপ অব ৭৭ এর চেয়ারম্যান ছিল।
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের হাই কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসাবে দায়িত্বে ছিল। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান করা হয়।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সাধারণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
১৯৯৯ সালে ১৯৫২ সালের মহান ২১ ফেব্রুয়ারিকে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ ২০০০ সালে আবারও সুরক্ষা কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০০০ সালের মার্চ থেকে ২০০১ সালের জুন পর্যন্ত সুরক্ষা কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে। সুরক্ষা কাউন্সিলের মেয়াদকালে সিয়েরা লিওন সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি ছিল বাংলাদেশ। একই সময়ে বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞার ভূমিকা সম্পর্কিত কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে দায়িত্ব পালন করে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং কমিশনে যোগ দেয়।
বাংলাদেশ ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচিত হয়। এতে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। কাউন্সিলের নির্বাচনে বাংলাদেশ ৭৮ টি ভোট পেয়েছিল। বাংলাদেশ এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের তিনটি মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে ।
(তথ্যসূত্র সংগৃহীত : বাংলা উইকিপিডিয়া ও জাতীয় পত্রিকা )
সম্পাদনা : আবদুল গনি , শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মী , চাঁদপুর । ২৪ অক্টোবর ২০২০