বিএম ইসমাইল :
আজ ভয়াল ২১আগ । ২০০৪ সালের এই দিনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রান বাঁচাতে নিজের জীবন বিশর্জন দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হাইমচরের আব্দুল কুদ্দুস পাটওয়ারী।
১১ বছর পার হলেও ভয়াল ২১ আগষ্ট ট্রাজেডির বিচার আজও শেষ হয়নি। শহীদ আব্দুল কুদ্দুস পাটওয়ারীর মা আমেনা বেগম ইতিমধ্যেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেছেন। দেখে যেতে পারেননি প্রিয় সন্তানের খুনিদের বিচার। যার জীবন বাচাতে আব্দুল কুদ্দুস পাটওয়ারী শহীদ হয়েছেন। রক্তাক্ত লাশ রাজ পথে পরেছিল। সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী। দ্রুতই ২১ আগষ্ট ট্রাজেডির বিচার হবে। খুনিদের শাস্তি হবে শহীদ আব্দুল কুদ্দুস পরিবার এমনটাই আশা করেন। ।
শহীদ আব্দুল কুদ্দুস পাটওয়ারী ৬ ভাই ও ২ বোনদের মধ্যে ৫ম ছিলেন। বর্তমানে ভাই আলমগীর হোসেন ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তার ৪ ছেলে রয়েছেন। শহীদ আব্দুল কুদ্দুসের পরিবার মৃত্যুর পরে অনুদান হিসাবে প্রথমে ১ লাখ টাকা ও পরবর্তীতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মায়ের হাতে ১০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয় চেক হস্তান্তর করেন। ওখান থেকে তার পরিবারের সদস্য গন প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে সুবিদা পাচ্ছেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান।
ভয়াল ২১ আগষ্ট ট্রাজেডির ১২তম দিবসে হাইমচর উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ আহ্বায়ক আঃ ছাত্তার গাজি জানান দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে। আজ সকাল ৭টায় প্রথমেই জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রতিককৃতিতে পুস্প মাল্য অর্পন পরে শহীদ আব্দুল কুদ্দুসের কবরে পুস্প মাল্য অর্পন ও ফাতেহা পাঠ , জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন , শোক র্যালী , আলোচনা সভা ও মিলাদ ,মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। একই রকম কর্মসূচি উপজেলা আ’লীগেরও রয়েছে।