আজ বিশ্ব নারী দিবস। আবার আজ বিশ্ব কিডনি দিবস। নারী এবং কিডনি বিষয়ে এক গবেষণায় উঠে এসেছে দারুণ এক তথ্য। ওই দুই দিবসকে সামনে রেখে গবেষণাটি চালিয়েছে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার এক দল বিশেষজ্ঞ। সেখানে বলা হয়, সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে কিডনি দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে অনেক এগিয়ে নারীরা।
বিশ্ব নারী দিবস এবং কিডনি দিবস উপলক্ষে ভিন্নধর্মী এই গবেষণা চালাতে ইউরোপিয়ান দেশগুলোর কিছু তথ্য-উপাত্ত গ্রহণ করা হয়। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নারীরা তাদের স্বামীর কিডনি সমস্যায় কিডনি দান করেন। এ হার পুরুষদের তুলনায় বেশি।
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি (আইএসএন) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব কিডনি ফাউন্ডেশন্স এর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সুস্থ-সবল পুরুষদের ৭ শতাংশ তার স্ত্রীকে কিডনিদান করেন। কিন্তু অনেক নারী আছে যারা মারাত্মক পর্যায়ের ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছেন। নারীদের গড় আয়ু সাধারণত পুরুষের চেয়ে বেশি। কাজেই নারীদের অনেক বেশি রোগে ভুগতে হয়। অনেকের কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়ে।
গবেষণাদলের প্রধান প্রফেসর আদিরা লেভিন বলেন, স্ত্রীরা অনেক বেশি হারে স্বামীদের প্রয়োজনে কিডনি দান করেন। এই হার কেন বেশি তার নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করা কঠিন। তবে কিছু গবেষণামূলক নথিতে বলা হয়, পরার্থপরতা এবং পরিবারের সদস্যকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ববোধ থেকেই নারীরা এ কাজে বেশি এগিয়ে আসেন।
এ গবেষণায় দেখা গেছে, বছরে যতগুলো কিডনি প্রতিস্থাপন ঘটে তার দুই-তৃতীয়াংশ গ্রহিতা পুরুষ। আর এ ক্ষেত্রে কিডনি দানকারীরা নারী। কিডনি প্রদানের ক্ষেত্রে কারা এগিয়ে সে বিষয়ে কোনো হিসেব করা হয় না।
গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ক্রনিক কিডনি ডিজিস বা সিকেডি-তে ভুগছেন ১২ শতাংশ পুরুষ। এ ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে, ১৪ শতাংশ। এমনকি অ্যাডভান্সড সিকেডি-তে আক্রান্ত হয়ে ভুগছেন অনেক নারী। এদের সংখ্যাও পুরুষের চেয়ে বেশি। কাজেই এ রোগে তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকলেও বেশি বেশি কিডনি দানেও এগিয়ে।
-কালের কন্ঠ
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ০০ পি.এম ৮মার্চ,২০১৮ বৃহস্পতিবার
এএস.