আজ মঙ্গলবার বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বিয়ের আগে পরীক্ষা করলে রক্ত, সন্তান থাকবে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত’।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, ‘সরকার দেশ থেকে থ্যালাসেমিয়া নির্মূলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করলে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য সংস্থা দেশব্যাপী ১০ জানুয়ারি ‘থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালন করেছে। সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি বিদ্যমান রোগীর জন্য সরকার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসের শ্লোগানকে সময়োপযোগী হিসেবে উল্লেখ করে দিবসটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
চিকিৎসকদের মতে, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। রক্তে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে তাহলে থ্যালাসেমিয়া হয়। এর ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়ার তথ্য মতে, দেশের ১০ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার জিন বহন করছে। এর মধ্যে চার শতাংশই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। বেঁচে থাকার জন্য এদের নিয়মিত রক্ত নিতে হচ্ছে দেশে বছরে সাড়ে সাত হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। সে হিসেবে, দিনে ২০ জনের বেশি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে পৃথিবীতে আসছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি শিশু এ রোগে ভুগছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক প্রায় ২৫০ মিলিয়ন। বাংলাদেশে প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। বিশ্বে প্রতি বছর এক লাখ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur