আজ ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস । স্বাভাবিক রক্তচাপ যার সাহায্যে রক্ত শরীরের একস্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছায়। হৃৎপিন্ডের পাম্পিং ক্রিয়ার মাধ্যমে রক্তচাপ তৈরি হয়। রক্তচাপের একক নির্দিষ্ট মাত্রা নেই।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে একেকজন মানুষের শরীরে রক্তচাপের মাত্রা ভিন্ন এবং একই মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে স্বাভাবিক এ রক্তচাপও বিভিন্ন রকম হতে পারে। আমাদের দেশে দিন দিন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে এক-চতুর্থাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভোগে। ।
উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ অধিক লবণ গ্রহণ। বিশ্বের যে সব জনগোষ্ঠী লবণ কম খায় তাদের ৮০ %ভাগের উচ্চ রক্তচাপ থাকে না। উচ্চ রক্তচাপের কারণ গুলির মধ্যেরয়েছে- ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন , বংশগত কারণ, মানসিক চাপ, ধূমপান , মাদক সেবন,অলস জীবন-য়াপন প্রভৃতি।
উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ অধিক লবণ গ্রহণের ফলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিক অক্ষমতা এবং পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ স্ট্রোক এবং হৃদরোগ। উচ্চ রক্তচাপের কারণে ৪৯ % করনারি হৃদরোগ এবং ৬৪ % স্ট্রোক হয়ে থাকে।
লবণ কম গ্রহণ করলে রক্তচাপ কম হয় এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। ধূমপায়ীদের শরীরে তামাকের নানা রকম বিষাক্ত পদার্থের প্রতিক্রিয়ায় উচ্চ রক্তচাপসহ ধমনী, শিরার নানা রকম রোগ ও হৃদরোগ দেখা দিতে পারে।
চর্বিজাতীয় খাবার, মাংস, মাখন , ডুবা তেলের ভাজা খাবার খেলে ওজন বাড়বে। ডিমের হলুদ অংশ এবং কলিজা, গুর্দা, মগজ এ সব খেলেও রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
এ জন্য উচ্চ রক্তচাপকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। বিশ্বে প্রতিবছর ৩জনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। সচেতনতা বৃদ্ধি ও উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করাব জন্যই এ দিবস টি ২০০৬ সার থেকেই পালিত হচ্ছে।
আবদুল গনি[/author]
: আপডেট বাংলাদেশ সময় ৯:০০ এএম, ১৭ মে ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ