জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে আজ রোববার থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবে না। পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ বিচরণ ক্ষেত্রে ৬টি অভয়াশ্রমে ৪৩২ কিলোমিটার নৌ-সীমানায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ইলিশসহ যেকোনো মাছ ধরা, বেচাকেনা, মজুত ও সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকবে। আইন অমান্য করলে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদণ্ডসহ অর্থ জরিমানার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের (নদী কেন্দ্র) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, মার্চ-এপ্রিলে দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে মোট ৪৩২ কিলোমিটার নদী এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
এ ছয়টি অভয়াশ্রম হলো- মেঘনার চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার, ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেলের ১২০ কিলোমিটার, ভোলা-পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদী ৮০ কিলোমিটার, পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটার এবং বরিশালের হিজালা-মেহেন্দিগঞ্জের মেঘনার শাখা নদীসহ ৮২ কিলোমিটার।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই কমিটিতে রয়েছেন।
তিনি জানান, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ। জেলায় ৫১ হাজার ১৯০ জন তালিকাভুক্ত জেলে আছেন। তাদের জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ থেকে বিরত রাখতে সচেতনতামূলক সভা, মাইকিং, পোস্টারিংসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এছাড়া এ সময় তারা যেহেতু বেকার থাকবে, তাই তালিকাভুক্ত জেলেদের আগামী চার মাস ৪০ কেজি করে চাল সহায়তা দেবে সরকার। ইতোমধ্যে চাল এসে চাঁদপুরে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, আইন অমান্য করে কোনো জেলে জাটকা ধরলে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ১ মার্চ ২০২০