সরকারের পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী তাসমীমা হোসেনের চরম ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দলমত নির্বিশেষে তাসমীমার বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছেন।
নিতা জাহান ফেসবুকে লিখেছেন, “মুসলিম সংখ্যাঘরিস্ট দেশে এই ধরনের কথা বলে কিভাবে?এই মহিলাকে আইনের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করা হোক যে আযানের আওয়াজ কিভাবে শব্দ দূষণ করে?”
একে আযাদ লিখেছেন, “মিস তাসমিমা হোসেন আপনি মুসলিম নাম ধারন করে আছেন ওটা আগে বাদ দেন এবং ঘোষনা দেন আপনি মরার পরে আপনাকে যেন জানাযা দেওয়া না হয়। তার পর আপনি নাস্তিক হন বা যাই হোউন আমার কোন আপত্তি নাই, আমি নাস্তিকদের নিয়ে কিছু বলবোনা। সেটা আপনার অধিকার।
কিন্তু আমাদের দেশে আপনাদের সংখ্যা অনেক কম। যেদিন আপনারা সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করবেন সেদিন না হয় আমরা ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র লাগিয়ে আজান শুনবো।” মোস্তাফিজুর রহমান মন্তব্য করেছেন,
“ধর্মীয় সহাবস্থান বলতে আমরা এই বুঝি না যে, ইসলাম ধর্মের নামে এই ধরনের উক্তি সহ্য করতে হবে। উনাদেরকে সংযত হতে হবে। এরা হল জ্ঞান পাপী। কুশিক্ষায় শিক্ষিত। আমি উনাদের ঘৃণা করি। আশা করি উনি উনার উক্তি প্রত্যাহার করবে।”
সরকার আরিফ লিখেছেন, “একমাত্র আ:লীগ সরকার এর কারনে আজকে মুসলিম দেশে থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম কথা বলার সুযোগ পায়। কেউবা নিজেকেই খোদা দাবি করে, হে আল্লাহ তুমি আ:লীগ এবং ঐ সমস্ত মানুষদের হেদায়েত দাও নতুবা তাদেরকে ধ্বংস করে দাও, (আমিন)।
মিজানুর রহমান মিঠু লিখেছেন, “আওয়ামীলীগ সরকার যখন প্রকাশ্যেই এসব নাস্তিক বগ্লারদেরকে সাপোর্ট দিচ্ছে, সেখানে আমাদের আর কি করার থাকে? আর কিছু একটা বললেই তো জঙ্গী বলে জেলে যেতে হবে,নয়তো জনদ্রোহী পুলিশ,বিজিবির বুলেটে জীবন দিতে হবে।”
আমিরুল ইসলাম বলেন, “দুই দিন পরে বলবে দাড়ি টুপি পড়া যাবে না! এগুলো জঙ্গিদের ড্রেস, মসজিদে যাওয়া যাবে না এগুলো জঙ্গিদের কাজ!” আরেকজন লিখেছেন, “অপক্ষমতার মসনদে পড়লে এরকম নমরুদি কথা মুখ দিয়ে আসবেই! আর এর জন্য আমরাই দায়ি! আমরাই তো এদের ভোট নামেরর সমর্থন দিয়েছি!”
কামরুল হাসান লিখেছেন, “খবরটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এ হল আরেক তসলিমা নাসরিন। একে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হোক।”
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। সেখানে উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের সম্পাদকরা যোগ দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সরকারের পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমীমা হোসেন।
সেখানে নিজের বক্তব্যের সময় তাসমীমা হোসেন বলেন, “ফার্মগেটে একটি পার্ক দখল করে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সাথে কয়েকজন মন্ত্রীরও সমর্থন রয়েছে। এভাবে শহরের মধ্যে যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, তাবলিগ বন্ধ করা উচিত। মসজিদ থেকে মাইকে উচ্চ শব্দে আজান দিয়ে শব্দ দূষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যাদের আজান শোনা দরকার তারা প্রয়োজনে মসজিদের সাথে ইলেট্রনিক মাধ্যমে নিজেদের কানে লাগিয়ে শুনতে পারে।”
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ১১:৩৫ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ