চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গুপটি ইউনিয়নের কর্মকার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক।
২০ অক্টোবর বুধবার রাত প্রায় ৩টার দিকে উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্টি গ্রামের পূর্ব কর্মকার বাড়ির বিরেশ্বর কর্মকারের পরিত্যক্ত ঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এতে ১টি ঘর পুড়ে অন্তত ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আসার আগেই আগুনে ওই ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে আগুনের ঘটনা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কিনা সে জন্য তাৎক্ষণিক ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
স্থানীয়রা জানান, রাতে ওই বাড়ির বিরেশ্বর কর্মকারের পরিত্যক্ত ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে ধারনা করছেন তারা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলি হরি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ) সার্কেল সোহেল মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. হারুন অর রশিদ সাগর, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য মশিউর রহমান মিটু, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গনি বাবুল পাটওয়ারী, প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান, উপজেলা পূজা উদযপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার দাস, সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি আব্দুস ছাত্তার পাটওয়ারী।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী চয়ন কর্মকার চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, ‘গভীর রাতে কুকুরের ডাক চিৎকারে আমার ঘুম ভাঙ্গে। উঠে দেখি ঘরটিতে আগুন জ্বলছে।’
এ বিষয়ে গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়েও এ এলাকায় কোন প্রকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেনি।’
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি সর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে।’
এ বিষয়ে রামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের (ডিজিএম) নূরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সর্ট সার্কিট কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দূঃখ জনক। ঘটনা সম্পর্কে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেদকঃ শিমুল হাছান, ২০ অক্টোবর ২০২১