Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে শর্ট সার্কিট থেকে বসতঘরে আগুন
আগুন
প্রতীকী ছবি

হাজীগঞ্জে শর্ট সার্কিট থেকে বসতঘরে আগুন

সামনে পরীক্ষা যে কারণে বাচ্চারা মাগরিবের নামাজের পর পরই বই খাতা নিয়ে পড়ার টেবিলে। এশার নামাজের সময় হঠাৎ করে শর্ট সার্কিট থেকে ঘরে আগুন ধরে যায়। পড়ার টেবিল থেকে তিন ছেলে লাফিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। তখন মনে পড়ে তাদের বই খাতা ও পরীক্ষার প্রবেশপত্র রক্ষা করতে হবে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে পুরো ঘরে আগুনে লাল হয়ে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে পাশের মানুষ আসলেও নিরব দর্শকের মত তারাও দাড়িয়ে আগুনের লিলা শিখা দেখছে। কারণ বিদ্যুতের আগুনের কারণে কেউ তাদের বই খাতাগুলো রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি।

এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ নভেম্বর শুক্রবার রাতে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কামাল শেখের বাড়িতে।

ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিক বাবুল শেখ বলেন, শুক্রবার এশার নামাজের সময় বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুনের সৃত্রপাত। আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘরে গিয়ে দেখি আগুন ঘরের চার দিকে দাউ দাউ করে জ্বলছে। হঠাৎ করে মনে হলো ঘরে বৃদ্ধ বাবা জয়নাল আবেদীনকে রক্ষা করতে হবে। তখন সাহস করে বৃদ্ধ বাবাকে কোলে নিয়ে বের হওয়ার সময় স্ত্রীর কন্ঠে কান্নার আওয়াজ শুনি। পরে তাকে বলি আমার কাছে আসো এ সাহস দিয়ে উভয়কে একসাথে ঘর থেকে বের করতে সক্ষম হই। এদিকে বাচ্ছারা কাদেঁ তাদের বই খাতা রক্ষা করার জন্য। কিন্তু এতে আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। চোঁখের সামনে ঘরের সব কিছু পুড়তেছে আর আমাদের স্বপ্নগুলো যেন এক নিমিষে ছাই হয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পর হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর কাজ শুরু হলেও ঘরের একটি আসবাসপত্র অক্ষত অবস্থায় রক্ষা করতে পারেনি।

বর্তমানে বাবুল শেখের তিন ছেলে ৯ম শ্রেনীর ছাত্র শান্ত শেখ, ৭ম শ্রেনীর ছাত্র ইমন শেখ ও তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আহাদ শেখ তাদের বই খাতা পুড়ে যাওয়ায় হাউ মাউ করে কাদঁতে দেখা যায়।

এদিকে খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীর সাধারন সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, পৌর মেয়রের নির্দশনায় প্যানেল মেয়র আজহারুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার আসস্ত করেন।

হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের প্রধান সাজেদুল কবির জোয়াদ্ধার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমরা খবর পেয়েছি দেরিতে। যে কারণে ঘরের আসবাসপত্র রক্ষা করতে পারিনি। তবে পুরো বাড়ির মধ্যে আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। পরে আমরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়েছি। পুড়ে যাওয়া ঘরটি আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারন করেছি।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২০ নভেম্বর ২০২১