আগাম আলুর আশায় নতুন স্বপ্ন কৃষকদের
নতুন মৌসুমে আগাম আলুর ভালো ফলন ও ন্যায্য বাজার মূল্যের প্রত্যাশায় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কৃষকরা এখন আশাবাদী। চারদিকে মাঠে দেখা যাচ্ছে তাদের ব্যস্ততা, স্বপ্ন আর পরিশ্রমের এক অনন্য সমাহার। গত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠে নতুন সম্ভাবনার খোঁজে কৃষকরা এবার আগাম আলুর আবাদে ঝুঁকেছেন আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে। চলতি মৌসুমে কচুয়া উপজেলায় আলু আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১,৮২৫ হেক্টর জমিতে। এর বেশির ভাগই আগাম দেশীয় জাতের আলু।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলী মাঠে ঘুরে দেখা যায়-কেউ ট্রাক্টর দিয়ে জমি চষছেন, কেউ কোদাল-নাঙ্গল হাতে বেড তৈরি করছেন, আবার কেউ জমিতে লাগানোর আগে কীটনাশক স্প্রে করছেন। কেউ সার প্রয়োগ করছেন, আবার কেউ বীজ আলু বাছাই করছেন-সব মিলিয়ে চলছে আলুর মৌসুম শুরুর প্রস্তুতি।
অনেক কৃষকই জানান, বাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের উৎপাদন ব্যয়ও বাড়ছে। পাশাপাশি কোথাও কোথাও কৃষি অফিসের প্রত্যাশিত সহায়তা ও পরামর্শ সময়মতো না পাওয়ার অভিযোগ করেন তারা। একাধিক কৃষক বলেন, ব্যয় অনেক বেড়েছে, কিন্তু আলু ওঠানোর সময় যদি ন্যায্য দাম পাই, তাহলে সব কষ্ট সার্থক হবে।
তেগুরিয়া বিলের কৃষকরা মনে করেন, মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগাম আলুর ফলন খুব ভালো হবে। শীতের আগে জমি প্রস্তুত করে রোপণ করতে পারলে বাজারে প্রথম দিকে আলু বিক্রি করে ভালো লাভ পাওয়া যায়। এ জন্যই অনেকেই রাতদিন খেটে জমি প্রস্তুতের কাজে মনোযোগী।
কৃষক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান ও আবুল বাসার জানান, গত বছর আলুতে ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আবহাওয়া ঠিক থাকলে আগাম আলু থেকে ভালো লাভ পাওয়ার আশা করছি। এজন্যই দ্রুত জমি প্রস্তুত করছি।
কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়াজী বলেন, কচুয়ার বিভিন্ন এলাকায় আগাম আলুর আবাদ শুরু হয়েছে। কৃষকরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,
২৮ নভেম্বর ২০২৫