শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে অনলাইন আবেদনের কার্যক্রম শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। এজন্য প্রস্তুত হচ্ছে নতুন সফটওয়্যার। বর্তমানে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে দেখা হচ্ছে। সোমবার(৯ জুলাই) এমপিও কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নতুন এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ।
এমপিওভুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী একেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাত্র একটি স্তরে এমপিও দেয়া হবে। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠান ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত হলে সেখানে নিম্ন মাধ্যমিক (অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) অথবা মাধ্যমিক (নবম-দশম) যেকোনো একটি স্তরে এমপিওভুক্ত করা হবে। সফটওয়্যার সেভাবেই বানানো হচ্ছে। এই সফটওয়্যারেই এমপিওভুক্তির আবেদন নেয়া হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) জাবেদ আহমেদ বলেন, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন গ্রহণের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এ সংক্রান্ত সফটওয়্যার প্রস্তুত, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এমপিওভুক্তির জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদন গ্রহণ শুরু করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও প্রথম পর্যায়ে মাত্র ১ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হবে। তার মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে ৪০০টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১০, কলেজ ৭৫, ভোকেশনাল স্কুল ও কলেজ ৩০০টি, মাদরাসা ১০০টি এবং ১১৫টি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ রয়েছে।
এদিকে, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ২৫ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর মধ্যে গত ১৪ দিন ধরে আমরণ অনশন করছেন তারা। অনশন শুরুর পর শিক্ষক-কর্মচারীরা অসুস্থ হওয়া শুরু করলে তাদের স্যালাইন দিয়ে রাখা হচ্ছে। এছাড়া বেশি অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছিল। কিন্তু ২৫ দিনেও কোনো সাড়া না পেয়ে শিক্ষকরা বুধবার চিকিৎসা নেয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন।