চাঁদপুর

চাঁদপুরে আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমির গাছ কাটা নিয়ে অপপ্রচার

চাঁদপুর শহরের আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমির ঝড়ে হেলে পড়া গাছ কাটা নিয়ে অপপ্রচার করছে একটি কুচক্রী মহল। তবে বিদ্যালয়ের হেলেপড়া কাটা গাছটি এখনো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২ বছর পূর্বে দুইটি মেহগনি ও একটি সেগুন গাছসহ তিনটি গাছ প্রচণ্ড ঝড়ে পড়ে যায়। ৩টি এখন পর্যন্ত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাছটি যেকোনো সময় হেলে পড়ে যেকোনো ধরনের বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এরকম আশঙ্কা থাকায় গাছটি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রেজুলেশন আকারে। তিনটি গাছের মধ্যে একটি গাছ পূর্বেই কেটে ফেলা হয়েছে।

কেটে ফেলা গাছটির একপাশে হাই ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন আরেক পাশে টিনশেড ভবন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার পানির জলধারা ও বিদ্যালয় ভবন থাকায় গাছ কাটা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। তবে এ মরার সেগুন গাছ টি বিদ্যালয় ভবনের উপর হেলে পড়া ভবনের অনেকাংশে ফাটল ধরে।

বিদ্যালয় ও মাঠে শিক্ষার্থীদের বিচরণ থাকায় এই গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ঝড়ের কারণে ক্ষতির সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে গত সপ্তাহে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাড়ে সাত হাজার টাকা খরচ খরচ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গাছটি কেটে বিদ্যালয়ের সংরক্ষণ রাখা হয়। কিন্তু গাছটি মরা হওয়ায় গাছের বিভিন্ন স্থানের সাল বাগলা গুলো উঠে যায়।

আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমির প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান (মাহবুব টিটিই) এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও শিক্ষকতাও করেছি। এ যাবতকালের বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেখেছি। তবে বর্তমানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সহযোগিতা ও প্রধান শিক্ষকের আন্তরিকতায় বিদ্যালয়ের বেদখল সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর পরে এই বিদ্যালয়ের চেহারা পাল্টে যাবে। তিনি বলেন এ অঞ্চলের জন্য আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ গোফরান হোসেন বলেন, ভবনের ওপর হেলে পড়া গাছটি স্থানীয় কয়েকজন নেওয়ার জন্য বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি কমেডি সিদ্ধান্ত ছাড়া কাউকে কাজটি দিতে পারব না বলে জানিয়েছে।

গাছটি বিদ্যালয় থেকে নিতে না পেরে তারা এখন নানাভাবে অপপ্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। কাটা গাছটি বর্তমানে বিদ্যালয়ের আঙিনায় দৃশ্যমান রয়েছে। যদি গাছটি বিক্রয় করা হতো তাহলে বিদ্যালয় আঙ্গিনায় এখনো দৃশ্যমান থাকত না। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গাছটি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে লাগানো হবে।

তিনি আরো জানান, এখানে একটি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে এলাকার কিছু উশৃংখল যুবক মাদকের আড্ডা বাসায় বিভিন্ন সময়। তাদেরকে বারণ করা হলে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকল্প জলধারা ভেঙ্গে ফেলে। এতে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন আমি বিদ্যালয়ে যখন প্রথম এসেছি। তখন বিদ্যালয়টি একটি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। ২৫ শতাংশ সম্পত্তির উপর বিদ্যালয় ভবন ও দেড়শত ছাত্রছাত্রী নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চলছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সহযোগিতায় অবৈধ দখলকৃত ২ একর ৫ শতাংশ সম্পত্তি দখলমুক্ত করি। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের দখলমুক্ত সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে চতুর্দিকে সহস্রাধিক ফলজ বনজ গাছের চারা রোপন করা হয় যায় এখন দৃশ্যমান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়ের ৭ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন দেখে অবৈধ দখলদাররা নানাভাবে বিদ্যালয়ের ক্ষতির চেষ্টা করছে। এছাড়াও এছাড়াও কিছু দুষ্কৃতিকারী কুচক্রী মহল তাদের নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এরা কখনোই বিদ্যালয়ের ভালো চাইনি।

বিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সাবেক বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এলাকাবাসী ও গনমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করছি।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৬ এপ্রিল ২০২১

Share