সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি।’
আবদুল কাদের মির্জা নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর পদত্যাগের ঘোষণার কথা প্রথমে ছড়ায়। পরে বেলা একটার দিকে পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমার ও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর প্রশাসনিক হয়রানি ও নিপীড়নের প্রতিবাদে, ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে নানাভাবে আমার নির্যাতনের শিকার হওয়ার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেন, তিনি দলের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে থাকবেন না। তবে তাঁর কর্মী-অনুসারীরা দলীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকলে তিনি দূর থেকে তাদের সমর্থন করবেন।
ফেসবুকে কাদের মির্জার যে পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে সেখানে বলা আছে, ‘আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। ভবিষ্যতে কোনো রকম জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। ভবিষ্যতে আমি কোনো রকম দলীয় পদ-পদবির দায়িত্ব নেব না।’
এর আগে আজ এক ফেসবুক লাইভে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি সব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই, সেখানে আমি থাকব না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি, সেখানে থেকেই কাজ করব।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি একসঙ্গে না পারলেও আস্তে আস্তে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী, তাদের দল থেকে বের করে দিন।
লাইভে কাদের মির্জা আরও বলেন, ঢাকায় সব দল একদল হয়ে গেছে। দিনের বেলা আলাদা রাজনীতি করলেও রাতের বেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলে হোটেলে একসঙ্গে হয়ে যায়। নিজের ভাই ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তিনি পদ-পদবির জন্য অপশক্তির কাছে মাথা নত করেছেন।’
ঢাকা ব্যুরো চীফ,৩১ মার্চ ২০২১