চাঁদপুর

নৌকায় ভোট দিলে কেউ খালি হাতে ফিরে না : চাঁদপুরে প্রধানমন্ত্রী

আজ রবিবার ১ এপ্রিল বিকালে ৩ টা চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় চাঁদপুর স্টেডিয়াম মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা

ভাষণে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই উন্নয়নের রাজনীতি করে, অন্যরা নয়। নৌকায় ভোট দিলে কেউ খালি হাতে ফেরে না। ’অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সরকারে লুটে খাওয়াটাই তাদের চরিত্র’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন করা তার সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ না খেয়ে থাকবে না। কেউ গৃহহারা থাকবে না। কমকরে হলেও একটি করে টিনের ঘর করে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ আপনার নৌকায় ভোট দিয়ে আওমীলীগ সরকার নির্বাচিত করেছেন’।

তিনি বলেন, আমরা কম্পিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব করেছি। এছাড়া ৫০ হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর করেছি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেনো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এখন তারা নিজের ঘরে বসে কাজ পাচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গৃহহীনদের জন্যে আশ্রায়ন প্রকল্প, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালের বেড সংখ্যা বৃদ্ধি ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মানোন্নয়ন করা হয়েছে। বিনা জামানতে যুবসমাজকে ঋণ প্রদান করছি, যাতে করে তারা স্ব-উদ্যোগে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর মা দের মোবাইল ফোনে বৃত্তি প্রদান ও ২০ লাখ মায়ের হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

চাঁদপুর ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাঁদপুরে আমি ১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে দিয়েছি, আরো নতুন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। আমরা ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। যাদের বিদ্যুৎ নেই তাদের জন্যে সোলারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আজকে ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ইনশাল্লাহ কোনো মানুষ অন্ধকারে থাকবে না। প্রতি ঘরে আমরা আলো জ্বালাবো।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই, আপনারা ভোট দিয়েছেন, চাঁদপুরবাসী ভোট দিয়ে প্রতিটি সিটে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করেছেন। আমরা চাই এ দেশের উন্নয়ন, হত্যাকাণ্ড, খুন-খারাবি চাই না। শান্তি যাতে পায় মানুষ, সে ব্যবস্থা আমরা করতে চাই। তাই আমরা ২০১৪ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করায় আপনারা উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারছেন। ২০২০ সালে জাতির জনকের শততম জন্মজয়ন্তী পালন করবো। উন্নয়ননের ধারা অব্যাহত রেখে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদে।

এজন্যে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা দরকার। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, জাতির পিতার খুনীদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়, তারা এ দেশের কোনো উন্নয়নে বিশ্বাস করে না।

এর আগে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়ে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী হাইমচর উপজেলায় বাংলাদেশ স্কাউটসের ষষ্ঠ জাতীয় কমডেকাও উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে মিছিলে মিছিলে জনস্রোত নেমেছে। ।প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে মোড়ে মোড়ে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। শহরের বাবুরহাট পুলিশ লাইন থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বিলবোর্ড আর তোরণে শোভা পায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র।।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট

Share