মাদকের ব্যাপারে আওয়ামী পরিবারের কোন লোক যদি অন্যায় তদবির করে তাকে আগে ধরবেন। এবং যে অপরাধ করে তাকে ২ নম্বর আসামি করবেন। এ ধরণের দু’একটি নজির সৃষ্টি করলে তারা আর তদবির করতে সাহস করবে না।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ লাইনে মাদকদ্রব্যের কুফল ও প্রতিকার বিষয়ক জেলা পর্যায়ে চূড়ান্ত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি মাদকের সমস্যাটা শুধু চাঁদপুরের নয়, এটি সামগ্রিক। পৃথিবীর কোথাও মাদক নেই, জঙ্গী নেই- এটি কেউ বলতে পারবে না। কিন্তু আমরা জঙ্গী থেকে মুক্ত ছিলাম। বহুপূর্বে সারা দেশে সিরিজ বোমা মেরে তারা একবার জানান দিয়ে ছিলো। বর্তমান সময়ে এসে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।’
এদেশে জঙ্গি নেই এটা বলা যাবে না। কিছু জঙ্গি লালন করা হচ্ছে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়। যারা স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে নাই তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে জঙ্গিবাদ শুরু করেছে। তারা যখনই সুযোগ পাবে তখনই ছোবল মারবে। এটি দমন করতে না পারলে আমাদের মূল্য দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এখন আর কোথাও প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করা হয় না। চোরাগুপ্তভাবে বিক্রি করা হয়। আমরা মাদক নির্মূল করেছি বলতে পারবো না, কিন্তু অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। মাদক একটি জীবন, একটি সংসার, একটি জাতিকে ধ্বংস করে ফেলে। আজ পুলিশ সুপারের কল্যাণে আমরা মাদক বিরোধি কাজের সুফল পেতে চলছি। আমরা আজকে অনেক পরিকল্পনা করেছি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসন এগুলোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে বলে আশা রাখি।
আসন্ন কোরবানীর ঈদে কোথাও চাঁদাবাজি হয় কিনা তা মনিটরিং করবেন। যে যতবড় নেতাই হউক না কেন, তাকে ছাড় দেয়া হবে না। কোথাও যেন বাল্য বিয়ে না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। কোথাও যদি বাল্য বিয়ে হয় তাহলে ওই স্থানের জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি করতে হবে। শেখ হাসিনা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ডাক দিয়েছেন, তাদের আর নিস্তার নেই। দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়া প্রয়োজন। খালেদা জিয়ারও বিচার করতে হবে। তারা দেশের সাথে দেশের মানুষের সাথে বেইমানী করেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারবে না। পুলিশ সুপার যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা স্যালুট পাওয়ার যোগ্য। দেশের প্রতিটি জেলায় এভাবে প্রশাসন এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ মাদকমুক্ত হবে। দেশে কোথাও মাদকাসক্ত থাকতে পারবে না। চাঁদপুর যেন একটি মাদকমুক্ত মডেল জেলা হয় সেই ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। আশা করি ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হবো।
পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশ্রাফুজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সধারণ সম্পাদক ্আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফি উদ্দিন। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সুভাষ রায়, শাহরাস্তি পৌর সভার মেয়র হাজী আব্দুল লতিফ, হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী, চঁদাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি বিএম হান্নান ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী শাহাদাত। এসময় উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার সুব্রত, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ ওচমান গনি পাটোয়ারী, ছেঙ্গারচর পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জর্জ, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফুজুল হক, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, শহীদ পাটোয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, রহিম বাদশা প্রমুখ। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন পুলিশ লাইন মসজিদের ইমাম মো. আব্দুস সালাম। পরে অতিথিবৃন্দ জেলা পর্যায়ে চূড়ান্ত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০০ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৬, রোববার
ডিএইচ