করোনা আক্রান্ত সন্দেহে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে সুমন ( ১৬) নামের এক রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। ২৭ মার্চ শুক্রবার বেলা ১২ টায় তাকে ওই ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।
জানাযায়,অসুস্থ সুমন ঢাকা মানিকগঞ্জ দক্ষিন চাহির এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। সে একজন হকার বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার আসিবুল আহসান চৌধুরী জানান, গত জানুয়ারি মাসের ২০/২২ তারিখে বাবা মায়ের সাথে রাগ করে সুমন ঢাকায় চলে আসেন। সে এতদিন ঢাকা সদর ঘাটে পানি হাকারি করেছেন।
সে ১৭ মার্চ জ্বর,সর্দি কাশি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভোগছিলেন। তার কাছে পরিবারের কারো মোবাইল নম্বর এবং কারো সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না থাকায়, কয়েকদিন অসুস্থতার কারনে সে মাথা ঘরে পড়ে গেলে সদর ঘাটের লোকজন তাকে লঞ্চের যাত্রী মনে করে চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চে উঠিয়ে দেন।
শুক্রবার বিকেলে সে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নামলে তার অসুস্থতা দেখে চাঁদপুরের একজন সংবাদকর্মীর সহায়তায় শুক্রবার বেলা ১৩ টায় চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, সুমনের অসুস্থতার লক্ষ্যন দেখে করোনা ভাইরাস সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি তাৎক্ষনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব উল করিম, সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান এবং আর এমও ডাঃ সুজাউদৌল্লাহ রুবেল সহ একটি টিম গঠন করে আলোচনা করে সুমনের অসুস্থতান বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রোগ তত্ত্ব ও গবেষনা (আই, ই,ডি সি, আর) কেন্দ্রের কট্রোল রুম বিভাগের ডাঃ মোনালিসার সাথে আলাপ করেন।
পরবর্তীতে একই বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাঃ পারভেজের সাথে বিস্তারিত আলাপ করলে তিনি তাকে ঢাকা না পাঠিয়ে হাসপাতালের প্রস্তুতকৃত আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখার পরামর্শ দেন।
বিকেলের মধ্যেই আইসোলেশনে থাকা অসুস্থ সুমনের নমুনা সংগ্রহ করতে তারা বাংলাদেশ রোগ তত্ত্ব ও গবেষনা (আই, ই,ডি সি, আর) কেন্দ্রের কট্রোল রুম বিভাগের একটি টেকনোলজিস্ট টিম পাঠান। পরে বিকেলের মধ্যেই টেকনোলজিস্ট নিতাই সহ ওই টিমটি নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। আর এই নমুনা পরীক্ষা শেষে জানা যাবে সুমন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
বর্তমানে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ওই রোগীর দেখাশুনার দায়িত্বে দু,জন নার্স রয়েছেন। এর চিকিৎসেবার দায়িত্বেও রয়েছেন ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরী।
কবির হোসেন মিজি,২৭ মার্চ ২০২০